মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় যুবলীগের কথিত নেতা ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে ১০ বছর এবং তার সাত দেহরক্ষীকে চার বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. আবদুল্লাহ আবু সাংবাদিকদের বলেন, রায়ে সাজার পাশাপাশি আসামিদের ৩ কোটি ৮৩ লাখ ৩৫ হাজার ৮১৪ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ অর্থ ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে না দিলে আরও এক বছর কারাভোগ করতে হবে। রায়ের আগে জি কে শামীমসহ তার সাত দেহরক্ষীকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে তাদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার অন্য আসামিরা হলেন মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. মোরাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. শহীদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন ও মো. আনিছুল ইসলাম। তারা সবাই জি কে শামীমের দেহরক্ষী। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সাত সশস্ত্র দেহরক্ষীসহ জি কে শামীমকে তার কার্যালয় থেকে আটক করে র্যাব। এ সময় সেখান থেকে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা, ৯ হাজার মার্কিন ডলার, ৭৫২ সিঙ্গাপুর ডলার, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর, অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ জব্দ করা হয়। এরপর র্যাব বাদী হয়ে অবৈধ অস্ত্র ও মাদক রাখা এবং মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে আরও তিনটি মামলা করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদ তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৪ আগস্ট আদালতে জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২০ সালের ১০ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এর আগে গত বছর ২৫ সেপ্টেম্বর অস্ত্র আইনের মামলায় জি কে শামীমসহ তার সাত দেহরক্ষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন অন্য একটি আদালত।
