বুধবার, ১৯ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

নিরাপত্তারক্ষীকে তুলে নিয়ে মুক্তিপণ আদায় করল ছাত্রলীগ

জাবি প্রতিনিধি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রলীগের কয়েক নেতার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের হাউজিং সোসাইটির নিরাপত্তারক্ষীকে তুলে নিয়ে মারধর করে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া মারধরের পর ‘নকল মাদকদ্রব্য’ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার কাছে তুলে দেওয়ার অভিযোগও করেন ভুক্তভোগী। রবিবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তরা হলেন শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি এহসান ইমাম নাঈম ও সাজ্জাদ শোয়াইব চৌধুরী, সাব্বির হোসেন নাহিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান জয়, অর্থ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম তাকীদ ও উপ-ছাত্রবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক আলরাজী সরকার।

অন্যদিকে ভুক্তভোগী ফরিদ হোসেন ওরফে পাঞ্চু বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন রাঙামাটি এলাকার বাসিন্দা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের হাউজিং সোসাইটিতে (অরুণাপল্লি) নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করতেন। জানা যায়, রবিবার রাত ৯টার দিকে রাঙামাটি এলাকা থেকে ফরিদকে মারধর করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে নিয়ে আসেন ছাত্রলীগের কয়েক নেতা। ওইদিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদের পরিবারের কাছে অজ্ঞাতপরিচয়ে ফোন দিয়ে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। শেষে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার শর্তে ফরিদকে ছাড়তে রাজি হন তারা রাত দেড়টার দিকে এ টাকা হস্তান্তর করেন আপেল মাহমুদ নামে ফরিদের পূর্বপরিচিত এক ব্যক্তি। তবে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে এহসান ইমাম নাঈম একজন মাদক ব্যবসায়ীকে ধরা হয়েছে বলে কল করলে ওই ব্যক্তিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার কর্মকর্তারা ধরে নিয়ে যান। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদ হোসেন বলেন, ‘মারধরকারী সাজ্জাদ, তাকীদ ও আলরাজীকে চিনতে পেরেছি। বাকিদের চিনতে পারিনি। এ ছাড়া ফোনে সাব্বির ও মেহেদী হাসানের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করছিল তারা। এরপর ভোরে কিছু নকল ইয়াবা ও ফেনসিডিলের বোতলে পানি ভরে আমাকে নিরাপত্তা শাখার কাছে ধরিয়ে দেয়।

 আমি কোনো মাদক ব্যবসায়ী নই।’ মুক্তিপণের ৫০ হাজার টাকা অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাদের কাছে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আপেল মাহমুদ। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্তরা। এদিকে ফরিদের সঙ্গে মাদকদ্রব্য থাকায় তাকে আশুলিয়া থানা পুলিশে সোপর্দ করেছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্র্রার (নিরাপত্তা) জেফরুল হাসান চৌধুরী সজল। ফরিদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নূর আলম মিয়া।

সর্বশেষ খবর