বুধবার, ১৯ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রয়োজনে সেনা মোতায়েন

নিজস্ব প্রতিবেদক

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রয়োজনে সেনা মোতায়েন

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সহিংসতা বন্ধে প্রয়োজনে সেনা মোতায়েনের কথা ভাবছে সরকার। সেখানে সহিংসতায় শুধু তারাই মারা যাচ্ছে না। সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসারও মারা গেছেন। একের পর এক সহিংস ঘটনার প্রেক্ষাপটে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতেই এমনটা ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস গতকাল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠক শেষে নিজ কার্যালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি একজন সঙ্গীকে নিয়ে এসেছিলেন। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যে সহিংসতা বাড়ছে, সে বিষয়েই মূলত তারা কথা বলেছেন। তিনি (গোয়েন লুইস) জানতে চেয়েছেন, সেখানে আমাদের আর্মি এবং বর্ডার গার্ড সবাই রয়েছে, সহিংসতা কেন হচ্ছে? তিনি আর্মির এসওপির কথা বলেছেন, সেটা আমরা ফলো করছি কি না? সব নিয়ে খোলামেলা কথা হয়েছে’। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বলেছি যে, ছোট একটি জায়গায় ১ দশমিক ২ মিলিয়ন মানুষ, নানান ধরনের সমস্যা তো এখানে থাকবেই। সেসব সমস্যা থেকে তৈরি হবে সহিংসতার। সহিংসতায় শুধু তারাই মারা যাচ্ছে না। আমাদের সেনাবাহিনীর একজন দক্ষ অফিসারও মারা গেছেন। এয়ারফোর্সের একজন দক্ষ অফিসার মারা গেছেন। আমরা এ ব্যাপারে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল রয়েছি, আমাদের সক্ষমতাও আমরা বাড়াচ্ছি- যাতে করে কিলিং বন্ধ হয়। এটাই আমরা জানিয়েছি। আর্মি আমাদের স্ট্যান্ডবাই থাকে সবসময়, যদি প্রয়োজন হয় আমরা আর্মিকেও ব্যবহার করব। সেই এসওপি আমরা তৈরি করেছি। সেই এসওপি অনুযায়ী প্রয়োজন হলে আমরা ব্যবহার করব, সেটি আমরা তাকে জানিয়ে দিয়েছি।’ দমন-পীড়নের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায় যে ক্যাম্পগুলোতে থাকে, সেখানে ধারাবাহিকভাবে সংঘাত চলছে। গত সাড়ে পাঁচ বছরে সেখানে ১৩২টি হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে সম্প্রতি সংসদীয় একটি কমিটির বৈঠকে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

আসাদুজ্জামান খান আরও বলেন, ‘১২ লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে টেকনাফ ও উখিয়াতে ৪ লাখ (স্থানীয়) রয়েছেন, তারাও এখন অসহায় হয়ে গেছেন। তাদের ফরেস্ট নষ্ট হয়ে গেছে, তাদের লবণ ফিল্ড নষ্ট হয়ে গেছে। এ সবও রোহিঙ্গাদের দখলে চলে গেছে। এসব নিয়ে কথা হয়েছে। আমরা বলে দিয়েছি, যত আরলি পসিবল তারা তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যাবে, আমরা যেটি মনে করি- আপনারাও সেই কাজটি করবেন।’

সর্বশেষ খবর