বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা
আওয়ামী লীগের শোভাযাত্রায় কাদের

নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী

নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ইউরোপ-আমেরিকা বলে গেছে, বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। তারা এ কথা বলার পর বিএনপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে।  গতকাল বিকালে রাজধানীর তেজগাঁও সাতরাস্তা মোড়ে ফুটওভার ব্রিজের নিচে অস্থায়ী মঞ্চে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত উন্নয়ন ও শান্তি শোভাযাত্রার উদ্বোধনের আগে তিনি এসব কথা বলেন।

রাজধানীর তেজগাঁও সাতরাস্তা মোড় থেকে মহাখালী-বনানী পর্যন্ত দীর্ঘ সড়কপথ পরিণত হয়েছিল রীতিমতো জনসমুদ্রে। উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশ এবং শোভাযাত্রায় লাখো নেতা-কর্মী, সমর্থকদের ঢল নামিয়ে সাংগঠনিক শক্তি দেখাল ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। সুবিশাল এই শোভাযাত্রাকে ঘিরে পুরো এলাকায় আনন্দমুখর ও নির্বাচনী পরিবেশের সৃষ্টি হয়। ঢাকা মহানগর উত্তরের বিভিন্ন আসন থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্যদের নেতৃত্বে আসা বিশাল বিশাল মিছিল নগরবাসীর দৃষ্টি কাড়ে। এ ছাড়া সাবেক এমপি সাবিনা আক্তার তুহিন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সফিকুল বাহার মজুমদার এবং ঢাকায় বসবাসরত কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে দলীয় শ্রম ও জনশক্তিবিষয়ক উপকমিটির সদস্য তমিজ উদ্দিন ভূইয়া সেলিমের নেতৃত্বে বিপুল জনতা উন্নয়ন শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। 

শোভাযাত্রাটি সাতরাস্তা থেকে শুরু করে মহাখালী হয়ে বনানীতে গিয়ে শেষ হয়। হাজার হাজার জনতার কারণে দুপুরের পর মহাখালী থেকে সাতরাস্তা পর্যন্ত রাস্তার একটি অংশ যান চলাচল বন্ধ থাকায় এ এলাকায় তীব্র যানজট দেখা দেয়। এতে মানুষকে বেশ ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

কেন্দ্রীয় এই কর্মসূচি ছাড়াও গতকাল রংপুর, ঢাকা, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের অন্তর্গত সব জেলা ও মহানগরে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশ এবং শোভাযাত্রা কর্মসূচি পালিত হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আসল খবর হচ্ছে, বিএনপির নেতারা আশার মালা গেঁথে প্রহর গুনছেন কখন আসবে উজরা জেয়া, কখন আসবে ইউরোপীয় প্রতিনিধিরা। কিন্তু তারা এসে চলে গেল। বিএনপি যা শুনতে চেয়েছিল, তাদের চোখ-মুখ শুকিয়ে গেছে। তিনি বলেন, খেলা হবে, ফাইনাল খেলা ডিসেম্বরে। বিএনপি নেতাদের বলব, মানসম্মান রাখতে চাইলে আন্দোলন ছেড়ে নির্বাচনে আসুন। বাংলাদেশের মানুষ আপনাদের মানসম্মান রাখবে না। তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে না এলে সেটা তাদের বিষয়, কিন্তু বাধা দিলে আমরা জনগণকে নিয়ে প্রতিহত করব। নির্বাচনকে বাধা দেওয়ার ক্ষমতা কারও নেই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে হেরে যাওয়ার কথা ভাবতেই তাদের (বিএনপি) মন খারাপ। এ জন্য পদযাত্রা করতে গিয়ে খাগড়াছড়ি, বগুড়ায় বালিকা বিদ্যালয়ে হামলা করেছে। বিএনপি বন্ধুদের বলব- আপনারা মাথা গরম করবেন না, মন খারাপ করবেন না। আমরা শান্তি চাই, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাই। শান্তি যত বাড়বে, আমাদের ভোট তত বাড়বে।

বিএনপির আশা পূরণ হয়নি জানিয়ে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, এখন সব দোষ শেখ হাসিনার। শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন করতে হবে। সেটাই তাদের জ্বালা। এমনি পদ্মা সেতুর জ্বালায় মরে। তিনি বলেন, নির্বাচনে হেরে যাওয়া, এই কথা ভাবতেই তাদের মন খারাপ। সেই জন্য পদযাত্রা করতে গিয়ে বাঙলা কলেজের হামলা করে, খাগড়াছড়িতে হামলা করে, স্কুলের ছাত্রীদের ওপর বগুড়ায় ককটেল মারে।

দলের নেতা-কর্মীদের সদা সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপনারা মাথা গরম করবেন না। ওদের (বিএনপি) মাথা গরম। ওরা এখন পায়ে পা রেখে ঝগড়া করতে চায়। আপনারা ওসব করবেন না। আমরা ক্ষমতায়, আমরা জেতা পার্টি। আমরা কেন গোলমাল করব? আমরা শান্তি চাই, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাই। তিনি বলেন, রাজনৈতিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। প্রতিরোধ করতে হবে এদের। প্রতিহত করতে হবে এদের। আমরা পরিষ্কার বলতে চাই, হয় ইলেকশনে আসুন, নির্বাচনে না এলে সেটা আপনাদের বিষয়। কিন্তু নির্বাচনে বাধা দিতে আসবেন, আমরা জনগণকে নিয়ে প্রতিহত করব। তিনি বলেন, ৫৪-দল! তারপর আবার ৩৭ দল! এখন আবার বলে ৩৬ দল! একবার ২৭ দফা! আরেকবার বলে ১০ দফা! এখন আবার বলে এক দফা! সব ভুয়া, ভুয়া। ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল এখানে (তেজগাঁও) এলে জিজ্ঞেস করবেন তোমাদের কাজটা কী? আওয়ামী লীগের তো কাজ আছে। শেখ হাসিনার উন্নয়ন, তোমরা কী দিয়েছো আমাদের? কোন মুখে ভোট চান? খালি মুখে ভোট বাংলার মানুষ আর দেবে না। তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতুর পর মেট্রোরেল। একদিকে ১০০ সেতুর উদ্বোধন। আগামী মাসে একদিনে আরও ১০০ সড়কের উদ্বোধন করা হবে। চট্টগ্রামের মানুষ অপেক্ষা করছে। নদীর তলে টানেল আসছে। এত উন্নয়নে বিএনপির ঘুম নেই। তাদের কেন মানুষ ভোট দেবে? বিদ্যুতের কারণে কিছুদিন অসুবিধা হয়েছিল। বিএনপি তো মনে করল বিশাল সমস্যা হয়ে গেছে। যে নেত্রী (শেখ হাসিনা) তিন ঘণ্টা ঘুমান, ২১ ঘণ্টা জনগণের কল্যাণে কাজ করেন। কার জন্য করেন? দেশের মানুষের জন্য, তাদের কল্যাণের জন্য। জিনিসপত্রের দাম বাড়ে, তাঁর মন খারাপ হয়। তিনি ঘুমাতে পারেন না। আমাদের এরকম নেতাই তো দরকার।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, দেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়ের আলোর যুগ ছেড়ে আর বিএনপি-জামায়াতের সময়ের অন্ধকারের যুগে ফিরে যাবে না। বর্তমান আলোকিত বাংলাদেশে নৌকার বিকল্প শুধু নৌকাই। নৌকায় ভোট দিতে দেশের মানুষ উন্মুখ হয়ে আছে। তবে দলের নেতা-কর্মীদের বলব- কোনো উসকানিতে পা দেওয়া চলবে না, সবাই ধৈর্য ধরে এগিয়ে যান। বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, নির্বাচনে আসুন, জনগণ ভোট দিলে ক্ষমতায় আসবেন। অন্য কোনো পথে কারও প্রেসক্রিপশনে দেশে নির্বাচন বা ক্ষমতার পালাবদল ঘটবে না।

মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, বিএনপির জন্মই হয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী সামরিক জান্তার পকেট থেকে। তাই এ দলটি কখনো গণতন্ত্রে ও নির্বাচনে বিশ্বাস করে না। সন্ত্রাসী দল বিএনপি নির্বাচনকে বানচাল করতে চায়। হানাহানি, অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করে একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। আওয়ামী লীগকে লাঠি দেখিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা করবেন না, আওয়ামী লীগ ঘুরে দাঁড়ালে পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না। জনগণ আপনাদের রাজপথেই শায়েস্তা করবে।

আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, সন্ত্রাসী ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে সঙ্গে নিয়ে মির্জা ফখরুলরা দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির চাকাকে স্তব্ধ করে দিতে চায়। একাত্তর, পঁচাত্তর ও ২১ আগস্টের খুনিরা মিলে শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাতের নামে আবারও সন্ত্রাস ও খুনের রাজনীতি ফিরিয়ে আনতে চায়। পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া বাধাতে চায়। তাই আমাদের সজাগ থাকতে হবে। ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, সব ক্ষেত্রে ব্যর্থ বিএনপি-জামায়াত অপশক্তিরা সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও হানাহানির উসকানি দিচ্ছে। এরা আদালত, আইন, সংবিধান কিছুই মানে না।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচির সঞ্চালনায় বিশাল এই উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আফজাল হোসেন, সাদেক খান এমপি, হাবিব হাসান এমপি, মোহাম্মদ এ আরাফাত এমপি, যুবলীগের মাইনুল হোসেন খান নিখিল, কৃষক লীগের সমীর চন্দ্র চন্দ, মহিলা লীগের শবনম জাহান শীলাসহ মহানগর উত্তর ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।

এ দিনের কর্মসূচি পালন সম্পর্কে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো আরও খবর-

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গতকাল শান্তি মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের পক্ষে এদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার রূপগঞ্জ ইউনিয়নের কাঞ্চন মায়ারবাড়ি এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করেন রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ শাহজাহান ভুইয়ার সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন সাঈদ ও রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ফয়েজ আহমেদ।

রংপুর : দুপুরে রংপুর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে শান্তি শোভাযাত্রা বের হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করেছে। পরে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সমাবেশে রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীসহ বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এ কে এম ছায়াদত হোসেন বকুল, যুগ্ম আহ্বায়ক মাজেদ আলী বাবুল প্রমুখ।

সাতক্ষীরা : দেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার স্বার্থে বিশাল শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা করেছে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগ। বিকালে  শহরের খুলনা রোড মোড়ে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে ফজলুল হক। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। সমাবেশ শেষে জেলা আওয়ামী লীগের শোভাযাত্রা খুলনা রোড মোড় থেকে সাতক্ষীরা নিউমার্কেট চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

খুলনা : খুলনায় জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শান্তি সমাবেশ ও প্রস্তুতি সভায় দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, বিএনপি সারা দেশে অরাজকতা তৈরি করছে। তারেক জিয়া গণতন্ত্র ও উন্নয়নকে ব্যাহত করছে। এই ষড়যন্ত্রকে রাজপথে রুখে দিতে হবে।

যুবলীগের তারুণ্যের জয়যাত্রা কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে নগরীর লোয়ার যশোর রোডে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনের সড়কে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ।

রাজবাড়ী : রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ মোড়ে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে এবং শান্তিপ্রিয় মানুষের জানমালের নিরাপত্তার দাবিতে বিকালে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে এই শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী।

বাগেরহাট : শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা করেছে বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগ ও সব সহযোগী সংগঠন। বিকালে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে দলীয় কার্যালয় থেকে এ শোভাযাত্রা বের হয়। এটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা রেল রোডে দলীয় চত্বরে এসে শেষ হয়।

গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জে শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। বেলা ১১টায় গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ অফিস চত্বর থেকে শহরে এ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে শোভাযাত্রা শহরের চৌরঙ্গীতে গিয়ে শেষ হয়।

মানিকগঞ্জ : আওয়ামী লীগের আয়োজনে মানিকগঞ্জে শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা করা হয়। দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য এ শোভাযাত্রা বের হয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহীউদ্দীন এতে সভাপতিত্ব করেন।

ফরিদপুর : ফরিদপুরে শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা করেছে আওয়ামী লীগ। বেলা ১২টায় আলীপুরের শেখ রাসেল স্কয়ার থেকে শোভাযাত্রাটি বের হয়। এটি আলীপুর মোড়, নিলটুলী হয়ে প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। শেষে ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

ধামরাই (ঢাকা) : ধামরাইয়ে আওয়ামী লীগ শান্তি ও শোভাযাত্রার মিছিল করেছে। দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগ এ শোভাযাত্রার আয়োজন করে। মিছিলে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী অংশ নেন। মিছিলটি ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র গোলাম কবিরের নেতৃত্বে ধামরাইয়ের ইসলামপুর হয়ে মহাসড়ক দিয়ে ঢুলিভিটায় গিয়ে শেষ হয়।

সর্বশেষ খবর