শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিএনপির হামলা পরিকল্পিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির হামলা পরিকল্পিত

তথ্য ও সম্প্র্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি তাদের কর্মসূচি থেকে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করছে। গতকাল দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার বিএনপি সারা দেশে বিভিন্ন জায়গায় পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছে। আমাদের দলের পক্ষ থেকেও শান্তি এবং উন্নয়ন শোভাযাত্রা করা হয়েছে। বিএনপির এই কর্মসূচিগুলোর মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করা, সেটি গতকাল আবার স্পষ্ট হয়েছে। তারা নয়টি জায়গায় পুলিশের সঙ্গে এবং অনেক জায়গায় আমাদের দলীয় কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। এ সময় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ছবি তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি নেতা-কর্মীরা মঙ্গলবার ঢাকায় মিরপুরে বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগের সহসভাপতি রুবেল হোসেনের বাইক জ্বালিয়ে দিয়েছে। একই সঙ্গে জাতীয় পতাকা পুড়িয়েছে। খাগড়াছড়িতে তারা আওয়ামী লীগের উপদফতর সম্পাদক নূরুল আজমসহ বেশ কয়েকজনের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করেছে, পৌর ভবনেও হামলা চালিয়েছে। বগুড়ায় বিনা অনুমতিতে জোর করে সাতমাথা মোড়ে যাওয়ার পথে বাধা দিতে গেলে বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর ইট পাটকেল ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছুড়তে বাধ্য হয়। হাছান মাহমুদ আরও বলেন, লক্ষ্মীপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানীর নেতৃত্বে মিছিলটি সামাদ একাডেমির সামনে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ব্যানার ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে। বিএনপির ৩০-৪০ জন নেতা-কর্মী একপর্যায়ে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে আসা ১৫-২০ জন নেতা-কর্মীকে ধাওয়া করে। এতেই পরবর্তী সংঘর্ষ বাধে। তিনি বলেন, এভাবে বিএনপি বিভিন্ন জায়গায় উসকানি দিয়ে সংঘর্ষ বাধিয়েছে, অর্থাৎ তারা যে সাংঘর্ষিক রাজনীতি করে এবং জ্বালাও-পোড়াও ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি থেকে তারা যে সরে আসেনি সেটি গতকাল প্রমাণ করেছে’। ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী হিরো আলমের ওপরে দুষ্কৃতকারীদের হামলার বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া মন্তব্যকে আন্তর্জাতিক সংস্থার বিবৃতি হিসেবে সংবাদ প্রকাশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আমি খুব আশ্চর্য হয়েছি যে, জাতিসংঘের এখানকার আবাসিক প্রতিনিধির টুইটকে জাতিসংঘের বিবৃতি হিসেবে প্রচার করা হয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের টুইটকেও সংস্থাটির বিবৃতি হিসেবে প্রচার করা হয়েছে। এভাবে যেটি যা নয়, সেটিকে তা হিসেবে প্রচার করা বা সংবাদ তৈরি করা ‘ম্যাল-ইনফরমেশন’ বা অপসাংবাদিকতার পর্যায়ে পড়ে। একটা টুইট যেটা জাতিসংঘের নয়, ইউএন হেড কোয়ার্টারসের কারও টুইটও নয়, এখানকার আবাসিক প্রতিনিধির একটা টুইটকে জাতিসংঘের বিবৃতি বা জাতিসংঘের বক্তব্য হিসেবে প্রচার করা কখনো সমীচীন নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের একজন আবাসিক প্রতিনিধি একটা টুইট করল, ‘দিজ ইজ রিয়্যাকশন অব হার, দিজ ইজ নট দ্য রিয়্যাকশন অভ ইউএন’। আমাদের গণমাধ্যমগুলো এটাকে জাতিসংঘের প্রতিক্রিয়া হিসেবে প্রচার করা সঠিক নয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর