শুক্রবার, ২১ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

অলংকার কেনা বেচায় মানতে হবে যেসব নিয়ম

নিজস্ব প্রতিবেদক

অলংকার কেনা বেচায় মানতে হবে যেসব নিয়ম

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) ভোক্তা অধিকার নিশ্চিতের লক্ষ্যে অলংকার ক্রয়-বিক্রয় ও বিপণনে ৩৪ দফা নির্দেশিকা প্রণয়ন করেছে। এ নির্দেশিকা সারা দেশের ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের মেনে চলার অনুরোধ করা হয়েছে।

নির্দেশনার মধ্যে বিশেষভাবে স্বর্ণ নীতিমালা (২০১৮) ও সংশোধিত স্বর্ণ নীতিমালা (২০২১) মোতাবেক স্বর্ণের মান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে হলমার্ক পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই বিধান মেনে হলমার্ক নিশ্চিত করে গহনা বিক্রয়, বিপণন, প্রস্তুত ও সরবরাহ করতে হবে। নিম্নমানের গহনা প্রস্তুত, বিপণনে জড়িত কারিগর-ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ক্যাডমিয়াম পাইনের নামে নিম্নমানের কোনো গহনা প্রস্তুত, বিপণন ও বিক্রয় করা যাবে না। পাইন ঝালার কোনো অলংকার প্রস্তুত, বিপণন ও বিক্রয় পুরোপুরি নিষিদ্ধ। স্বর্ণের অলংকার এক্সচেঞ্জ বা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ ও পারচেজ বা ক্রেতার কাছ থেকে ক্রয়ের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ বাদ দিতে হবে। এ ছাড়া স্বর্ণালংকার বিক্রয়ের সময় ক্রেতা সাধারণের কাছ থেকে গ্রাম প্রতি কমপক্ষে বা ন্যূনতম ৩০০ টাকা মজুরি নিতে হবে। ক্রেতা সাধারণ থেকে সরকার নির্ধারিত হারে ভ্যাট সংগ্রহ করে সরকারি কোষাগারে নিজ দায়িত্বে জমা দিতে হবে। বাজুস নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কম বা বেশি মূল্যে স্বর্ণ বা রুপার গহনা বিক্রয় করা যাবে না। এ ছাড়া পুরাতন স্বর্ণ ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিক্রেতাকে পারচেজ রশিদ দিতে হবে, বিক্রেতার জাতীয় পরিচয়পত্রের মূলকপি থেকে নিজ দায়িত্বে উভয় পাশের ফটোকপি রাখতে হবে। মূল মালিক ব্যতীত কোনো প্রতিনিধির কাছ থেকে অলংকার কেনা যাবে না। ব্যাগেজ রুলের আওতায় আনা স্বর্ণ এবং অলংকার কেনার ক্ষেত্রে বিক্রেতার পাসপোর্টের কপি, জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি, এয়ারপোর্টে ডিক্লেয়ারেশন/ ট্যাক্সের আওতায় থাকলে ট্যাক্স দেওয়ার ডকুমেন্ট সংরক্ষণ করতে হবে। ৫০ সেন্টের ওপরে সব ডায়মন্ডের গহনা ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক সার্টিফিকেট দিতে হবে। ডায়মন্ডের গহনায় স্বর্ণের সর্বনিম্ন মানদন্ড ১৮ ক্যারেট।

সর্বশেষ খবর