ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের দিন হামলাকারীদের শনাক্তে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে যান বহুল আলোচিত আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। এ সময় তিনি ডিবিপ্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে দেখা করেন। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথাও বলেন। এদিকে, হিরো আলমকে মারধরের ঘটনায় বনানী থানায় দায়ের করা মামলায় আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এ নিয়ে হামলার ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করা হলো। বিকাল সাড়ে ৩টায় হিরো আলম রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। ডিবি পুলিশ প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে তিনবার মার খেয়েছি। প্রার্থীকে পছন্দ না হলে ভোট দিয়েন না। এড়িয়ে যান। কিন্তু আমাকে মারার অধিকার দেওয়া হয় নাই। আমি চেষ্টা করেছি, সুষ্ঠু ভোট হোক, ভোটাররা ভোট দিতে আসুক। এ সময় তিনি আওয়ামী লীগের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না বলেও ফের উল্লেখ করেন। হিরো আলম বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে তিনবার মার খেয়েছি। প্রথমে ২০১৮ সালে, এরপর বগুড়ায়, সেখানে জিতলেও ফল দেয়নি। আবার ঢাকায় উপনির্বাচন করতে এসে মার খেলাম। ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলাম। সেখানে ভোটের শেষ মুহূর্তে আমার ওপর হামলা হয়। সেখানে হামলায় কারা কারা ছিল তাদের শনাক্তের জন্য আমাকে ডাকা হয়েছিল। আমি ডিবির প্রতি কৃতজ্ঞ তারা দ্রুত হামলাকারীদের ধরেছে, যা ভাবতেও পারিনি। আমি ভেবেছিলাম হামলাকারীরা ক্ষমতাসীন দলের লোক, তাদের হয়তো ধরবে না। এই নির্বাচনে হামলায় আমি মারাও যেতে পারতাম। নির্বাচন করে অনেক মায়ের কোল খালি হয়েছে। এ সময় হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি। হিরো আলম আরও বলেন, আমাকে পছন্দ না হলে আমাকে ভোট দিয়েন না, এড়িয়ে যান। কিন্তু আমাকে মারার অধিকার কাউকে দেওয়া হয় নাই। সেদিন যেভাবে আমাকে মারা হয়েছে- একমাত্র আল্লাহর জন্য আমি বেঁচে আছি। হামলাকারীরা আমাকে পাষন্ডের মতো মেরেছে, তাদের বিবেকে বাধেনি। মাটিতে পড়ে যাওয়ার পরও তারা আমাকে মেরেছে।