রবিবার, ২৩ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

জোর দিতে হবে লার্ভিসাইডিংয়ে

----- ড. কবিরুল বাশার

জোর দিতে হবে লার্ভিসাইডিংয়ে

কীটতত্ত্ববিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার বলেছেন, মশক নিয়ন্ত্রণে ফগিং করে উড়ন্ত মশা মরার চেয়ে লার্ভিসাইডিং অনেক বেশি কার্যকর। রাজধানী ঢাকার মশা  নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত মশক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনায় মনোযোগ দিতে হবে। লার্ভিসাইডিংয়ে জোর দিতে হবে।

গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি আরও বলেন, এ ক্ষেত্রে চারটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। সেগুলো হলো- পরিবেশগত নিয়ন্ত্রণ, বায়োলজিক্যাল কন্ট্রোল, কেমিক্যাল বা কীটনাশক কন্ট্রোল এবং কমিউনিটি পার্টিসিপেশন। কীটনাশক প্রয়োগের ক্ষেত্রে লার্ভিসাইডের দিকে আমরা জোর দিতে বলেছিলাম। ফগিংয়ে যতটুকু না মশা মারা যায়, তার চেয়ে জনমানুষের ক্ষতি বেশি হয়। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে এখন কী ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন জিজ্ঞাসা করলে কবিরুল বাশার বলেন, ‘এখন হটস্পট ম্যানেজমেন্টে জোর দিতে হবে। হাসপাতাল থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর ঠিকানা নিয়ে হটস্পট শনাক্ত করতে হবে। এরপর ওই জায়গায় ক্রাশ প্রোগ্রাম নিয়ে উড়ন্ত মশা নিধন করতে হবে। যেসব জায়গায় রোগী নেই, সেখানে লার্ভা শনাক্ত ও ধ্বংস করতে হবে। এ কাজে জনগণকে সম্পৃক্ত করে সচেতনতা বাড়াতে হবে।’

ড. কবিরুল বাশার বলেন, ডেঙ্গু ভাইরাস প্রধানত এডিস ইজিপ্টাই প্রজাতির স্ত্রী মশা দ্বারা সংক্রামিত হয় এবং কিছু ক্ষেত্রে অল্প মাত্রায় এডিস অ্যালবোপিক্টার মাধ্যমেও ছড়াতে পারে। এ মশাকে নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে এর প্রজনন, প্রজননস্থল ও স্বভাব জানা অত্যন্ত জরুরি। আমরা এডিস মশার প্রজননস্থল হিসেবে পরিষ্কার পানির কথা জানি। আমিও এটি সব সময় বলে এসেছি। কিন্তু আমাদের গবেষণায় আমরা পেয়েছি, এডিস মশা সুয়ারেজের পানি, ড্রেনের পানি, এমনকি সমুদ্রের নোনা পানিতেও ডিম পাড়ে এবং এর জীবনচক্র সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারে। তাই সতর্ক না হলে ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও বাড়তে পারে।

সর্বশেষ খবর