রবিবার, ২৩ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

বেসরকারিতে অপ্রয়োজনে প্লাটিলেট ব্যবহার

----- ডা. আশরাফুল হক

বেসরকারিতে অপ্রয়োজনে প্লাটিলেট ব্যবহার

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ব্লাড ট্রান্সফিউশন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আশরাফুল হক বলেছেন, বেসরকারি হাসপাতালে বেশির  ভাগ সময়েই প্রয়োজনের বাইরে প্লাটিলেটের ব্যবহার হচ্ছে। অনেকে এটা ভয়ে ব্যবহার করে থাকে, যাতে রোগীর ঝুঁঁকি তৈরি না হয়। রোগীর ল্যাবরেটরি-নির্ভর চিকিৎসা না করে ক্লিনিক্যাল চিকিৎসার ওপর গুরুত্ব দিলে প্লাটিলেট ও প্লাজমা বা রক্তের ব্যবহার কমিয়ে আনা সম্ভব। তাতে ডেঙ্গু চিকিৎসার ব্যয় অনেক কমে আসবে। গতকাল তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে আরও বলেন, প্লাটিলেট দুভাবে সংগ্রহ করা যায়। সিঙ্গেল ডোনার প্লাটিলেট ও র‌্যান্ডম ডোনার প্লাটিলেট। সিঙ্গেল ডোনার প্লাটিলেট প্রক্রিয়ায় একজন দাতার শরীর থেকে যন্ত্রের মাধ্যমে প্লাটিলেট সংগ্রহ করা হয়। সরকারি হাসপাতালে এই প্রক্রিয়ায় প্লাটিলেট নিতে একজন রোগীর ব্যয় হয় মাত্র ২ হাজার টাকা। তবে বেসরকারি হাসপাতালগুলো সিঙ্গেল ডোনার প্লাটিলেট ব্যবস্থাপনায় ২০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা ফি নিচ্ছে। ডা. আশরাফুল হক আরও বলেন, র‌্যান্ডম ডোনার প্লাটিলেট প্রক্রিয়ায় চারজন দাতার রক্ত নিয়ে এক ব্যাগ প্লাটিলেট তৈরি করা হয়। সরকারি হাসপাতালে এই প্রক্রিয়ায় প্লাটিলেট পেতে শুধু স্ক্রিনিং ও ক্রস ম্যাচিং ফি দিতে হয়। ক্ষেত্রবিশেষে রক্তের ব্যাগ না থাকলে সেই দামটি ফির সঙ্গে যুক্ত হয়। কিন্তু বেসরকারিতে চার দাতার রক্ত পরিসঞ্চালনেই রোগীর ব্যয় হয় প্রায় ৬ হাজার টাকা। এর সঙ্গে যোগ হয় ডোনার স্ক্রিনিং ও ক্রস ম্যাচিং ফি। আর প্রতি ব্যাগ রক্ত থেকে প্লাটিলেট বের করতে দিতে হয় সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ চার ব্যাগ রক্ত থেকে এক ব্যাগ প্লাটিলেট পেতে রোগীর ব্যয় হয় ১৪ থেকে ২০ হাজার টাকা। আনুষঙ্গিক ব্যয় হিসেবে আরও দিতে হয় ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা। ডেঙ্গু রোগীদের প্লাজমার ক্ষেত্রেও একই ব্যয় হয়ে থাকে। তবে প্লাজমা খুব কমসংখ্যক রোগীর লাগে।

সর্বশেষ খবর