রবিবার, ২৩ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসায় কংগ্রেসম্যান জো উইলসন

লাবলু আনসার, যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন কংগ্রেসে বাংলাদেশ ককাসের কো-চেয়ার কংগ্রেসম্যান এবং কংগ্রেসে পররাষ্ট্র সম্পর্কিত সাব-কমিটির চেয়ারপারসন জো উইলসন বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য সম্পর্ক সম্প্রসারণ এবং উভয় দেশের জনগণের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য আগ্রহী।

দক্ষিণ ক্যারোলিনা থেকে নির্বাচিত রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান জো উইলসন বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারি উদ্যাপন উপলক্ষে ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান।

স্টেট ডিপার্টমেন্টে সাউথ অ্যান্ড সেন্ট্রাল এশিয়া ব্যুরোর প্রিন্সিপাল ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি এলিজাবেথ হর্স্ট এবং হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্রায়ান লুটি সম্মানিত অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। সাবেক কংগ্রেসম্যান (ডেমোক্র্যাট) জিম মোরান এ সময় বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসাকালে জো উইলসন ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দিকে দেশের এগিয়ে যাওয়া এবং দারিদ্র্য বিমোচনে অগ্রগতির কথা উল্লেখ করেন।

জো উইলসন বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ এবং এর জনগণ কঠোর পরিশ্রমী। উইলসন বলেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা প্রদানের জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করে প্রতিনিধি পরিষদে তিনি একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান তাঁর বক্তব্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্ক এবং বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন সম্পর্কে উৎসাহব্যঞ্জক বক্তব্যের জন্য কংগ্রেসম্যান জো উইলসনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের চমৎকার আর্থসামাজিক রূপান্তরের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, সরকার সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করে এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। রাষ্ট্রদূত ইমরান বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সমর্থন এবং মানবিক সহায়তার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এলিজাবেথ হর্স্ট তাঁর বক্তব্যে বলেন, গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র একটি শক্তিশালী ও ব্যাপক অংশীদারি গড়ে তুলেছে এবং এ অংশীদারি একটি সমৃদ্ধ, শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য সহায়ক। ডিরেক্টর ফর সাউথ এশিয়া রিজিওনাল অ্যাফেয়ার্স (ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল) ব্রায়ান লুটি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’কে স্বীকৃতি দেয়, সম্মান করে এবং সমর্থন করে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র একই সঙ্গে বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের পাশাপাশি জাতিসংঘ সনদে সন্নিবেশিত আন্তর্জাতিক আইন ও নীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক ড. আহমদ কায়কাউস, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা ও সুদানের রাষ্ট্রদূতের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, মার্কিন সরকার ও পররাষ্ট্র দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং শিক্ষাবিদ ও সুশীলসমাজের সদস্যরা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

সর্বশেষ খবর