রাজধানীর ঘরে ঘরে ডেঙ্গুজ্বরে ভুগছে মানুষ। প্রতিদিন ২ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে দেশে। ঢাকার বাইরেও বাড়ছে রোগী। গতকাল এক দিনে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ২৯২ জন, মারা গেছেন ৯ জন। ঢাকা মহানগরীর ১১টি এলাকা থেকে ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে বেশি ভর্তি হচ্ছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১ হাজার ৬৪ জন এবং ঢাকার বাইরের ১ হাজার ২২৮ জন। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা আটজন এবং ঢাকার বাইরের একজন। এ বছর ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন ৩২ হাজার ৯৭৭ জন, মারা গেছেন ১৭৬ জন। ঢাকা মহানগরীর ১১টি এলাকা থেকে ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে বেশি ভর্তি হচ্ছেন। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ছয়টি এবং উত্তর সিটির পাঁচটি এলাকা রয়েছে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের যেসব জায়গা থেকে বেশি ডেঙ্গু রোগী আসছেন, এর মধ্যে আছে যাত্রাবাড়ী, মুগদা, কদমতলী, জুরাইন, ধানমন্ডি ও বাসাবো। আর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জায়গাগুলোর মধ্যে আছে উত্তরা, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, তেজগাঁও ও বাড্ডা। স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো) মো. হাবিবুল আহসান তালুকদার এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। রাজধানীর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ২ হাজার ১০৪ জন। বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ২ হাজার ৪৫ জন। ঢাকা বিভাগে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৮৬৩ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৯৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৭৩৭ জন, খুলনা বিভাগে ২৬৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ১১৫ জন, রংপুর বিভাগে ১১১ জন, বরিশাল বিভাগে ৬৮৯ জন, সিলেট বিভাগে ৬৮ জন। ঢাকার বাইরে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শেফালী বেগম (৫৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি বরগুনার পাথরঘাটা এলাকার মো. বারেকের স্ত্রী। তিনি গত শনিবার ডেঙ্গুজ্বর নিয়ে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি হন। গতকাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।