সোমবার, ২৪ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা
মির্জা ফখরুল

ইন্টারনেট শাটডাউন নাগরিক অধিকার লঙ্ঘন

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১২ জুলাই তাদের (বিএনপি) সমাবেশসহ বিভিন্ন আয়োজনে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়। একই দিন একই সময়ে সরকারি দলের সমাবেশস্থলে ইন্টারনেট সংযোগ স্বাভাবিক ছিল। ইন্টারনেট শাটডাউন নাগরিক অধিকার লঙ্ঘন। গতকাল রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ‘ইন্টারনেট শাটডাউনসহ সব ধরনের ‘ডিজিটাল নির্যাতনের প্রতিবাদে’ এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপি। তিনি ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানান। মির্জা ফখরুল বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা মানে নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বাইরের দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তাব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ উন্নত না বলেই হ্যাক হচ্ছে, তথ্য চলে যাচ্ছে। তিনি বলেন, সরকার স্মার্ট বাংলাদেশের নামে সব রাষ্ট্রীয় যন্ত্র ব্যবহার করে নাগরিকদের সাইবার জগতের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। অযোগ্যতা এবং অদক্ষতার কারণে প্রায় পাঁচ কোটি নাগরিকের ব্যক্তিগত স্পর্শকাতর তথ্য ফাঁস হয়ে গেছে। তার আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনাও ঘটেছে। বিএনপির মহাসচিব বলেন, ইসরায়েলি প্রযুক্তি পেগাসাস তৈরি করা হয়েছিল জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে। কিন্তু কর্তৃত্বপরায়ণ সরকারেরা এই প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করে। বাংলাদেশে বর্তমান সরকার সেই প্রযুক্তি কিনে দেশের মানুষের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে। এক প্রশ্নের জবাবে প্রসঙ্গক্রমে মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, তার নিজের ফোন একবার গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে নেয় এবং পাসওয়ার্ড চেয়ে ফোন খুলে ক্লোন করে সব তথ্য নিয়ে যায়। তিনি বলেন, ডিজিটালাইজেশন এই সভ্যতার আশীর্বাদ। কিন্তু বর্তমানে এই সরকার এ ডিজিটালাইজেশনকেই জনগণের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। ডিজিটাল মাধ্যমে নিপীড়ন, জনগণের ওপর নজরদারি, ফোন কল রেকর্ড, অনলাইনে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন, অনলাইনে নারীদের প্রতি সহিংসতাকে উসকে দেওয়া, ভিন্ন মতাবলম্বীদের ব্ল্যাকমেল করা, ভুল তথ্য, বিকৃত তথ্য ও জালিয়াতির মাধ্যমে প্রপাগান্ডা চালানোসহ নানা অপরাধ করে চলেছে এই সরকার।

সর্বশেষ খবর