বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

মোদির প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব বিরোধীদের

কলকাতা প্রতিনিধি

মোদির প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব বিরোধীদের

মণিপুর ইস্যুতে ভারতের লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে বিরোধী দলগুলো। মণিপুরে দুই নারীকে বিবস্ত্র করে ঘোরানোর ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিবৃতি দাবি করে গতকাল সংসদের নিম্নকক্ষে (লোকসভা) এই অনাস্থা প্রস্তাব আনে ২৬টি বিরোধী দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’।

এদিন লোকসভায় কংগ্রেসের ডেপুটি লিডার গৌরব গগৈ লোকসভার সেক্রেটারি জেনারেললের অফিসে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন। তিনি একটি বিজ্ঞপ্তিও দিয়েছেন। লোকসভার পক্ষে স্পিকার ওম বিড়লা এই প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন।

প্রসঙ্গত, লোকসভার নিয়ম অনুযায়ী অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে অন্তত ৫০ জন সংসদ সদস্যের স্বাক্ষর প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য আগামী ১০ দিনের মধ্যে একটি দিন ধার্য করতে পারেন স্পিকার। কারণ অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে কবে, কখন, কত সময় ধরে আলোচনা হবে তা নিয়ে লোকসভার স্পিকারই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এ ব্যাপারে স্পিকার ইঙ্গিত দেন সব বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করেই দিনক্ষণ স্থির করা হবে। সে ক্ষেত্রে আগামী সপ্তাহে স্পিকার দিনক্ষণ স্থির করতে পারেন বলে কোনো কোনো সূত্র জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৪ মে ভারতের মণিপুরে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের দুই নারীকে বিবস্ত্র করে প্যারেড করানো হয়। প্রায় আড়াই মাস পর ১৯ জুলাই সেই ভিডিও ভাইরাল হয়। একদিন পর ২০ জুলাই থেকে সংসদে বর্ষাকালীন অধিবেশন শুরু হওয়ার দিন থেকে মণিপুর ইস্যুতে উত্তাল হয়ে ওঠে ভারতের সংসদ। সংসদের ভিতরে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করে লাগাতার বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে বিরোধীরা। কিন্তু সরকার পক্ষ থেকে সেই দাবিকে কিছুতেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। আর এ কারণেই অনাস্থা প্রস্তাব এনে আলোচনার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মণিপুর ইস্যুতে সরকারকে আক্রমণ করাই বিরোধীদের এই গেমপ্ল্যান বলে পর্যবেক্ষকরা বলছেন।

প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ভারতীয় লোকসভায় মোট আসন ৫৪৩টি, এর মধ্যে বিজেপি শাসিত ‘জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট’ (এনডিএ)-এর দখলে রয়েছে ৩৩২টি আসন। ফলে স্বাভাবিকভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে শাসকদলের হাতে। বিরোধী দলেরও বক্তব্য, অনাস্থা প্রস্তাবের ফলাফল তাদের পক্ষে যাবে না। কিন্তু এই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বিবৃতি দিলে তা হবে তাদের নৈতিক জয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর