শিরোনাম
সোমবার, ৩১ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

আমানকে দেখতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হাসপাতালে

নিজস্ব প্রতিবেদক

শনিবার সরকার পতনের এক দফা দাবি আদায়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষের সহস্র ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এর মধ্যে দুটি ছবি ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এর একটি হলো- ঢাকা মহানগর ডিবি (গোয়েন্দা পুলিশ) প্রধান হারুন অর রশীদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মধ্যাহ্নভোজের ছবি। আরেকটি বিএনপি নেতা আমানুল্লাহ আমানকে দেখতে হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি দলের ছবি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যায়, ঢাকা মহানগর ডিবি কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে আপ্যায়ন করাচ্ছেন ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ। ডিবি প্রধানের সঙ্গে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় দুপুরের খাবার খান। একটি ছবিতে দেখা যায়, গয়েশ্বরের প্লেটে খাবার তুলে দিচ্ছেন হারুন অর রশীদ। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানকে দেখতে হাসপাতালে যায় প্রধানমন্ত্রীর একটি প্রতিনিধি দল। শনিবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তার সহকারী একান্ত সচিব-২ গাজী হাফিজুর রহমান (লিকু) জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আমানকে দেখতে যান। ভাইরাল হওয়া একটি ছবিতে দেখা যায়, বিএনপি নেতাকে প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো দুপুরের খাবার, বিভিন্ন প্রকার মৌসুমি ফল ও জুসসহ একটি ঝুড়ি তুলে দিচ্ছেন গাজী হাফিজুর রহমান (লিকু)। জানা যায়, আমানউল্লাহ আমানকে হাফিজুর রহমান (লিকু) বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনার জন্য এসব খাবার, ফল ও জুস পাঠিয়েছেন এবং আপনার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর জানতে চেয়েছেন। তিনি আপনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন। তিনি আরও বলেন, চিকিৎসার জন্য দেশের ভিতরে অন্য যে কোনো হাসপাতালে আমানউল্লাহ আমান যেতে চাইলে তারও সুব্যবস্থা করে দেবেন প্রধানমন্ত্রী। আমানউল্লাহ প্রধানমন্ত্রীর উপহার গ্রহণ করেন এবং মানবতা ও রাজনৈতিক শিষ্টাচারের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। ২৮ জুলাই নয়াপল্টনের সমাবেশে সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে পরদিন ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। এ কর্মসূচি পালন করতে বেলা ১১টার দিকে গাবতলীতে আমান উল্লাহ আমানের নেতৃত্বে জড়ো হন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। তখন পুলিশের এক কর্মকর্তা কর্মসূচির অনুমতি নেই জানিয়ে আমানকে নেতা-কর্মী নিয়ে সেখান থেকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে সরে যেতে বলেন। তখন পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। আগে থেকেই সেখানে অবস্থানরত আওয়ামী লীগ এবং দলটির অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা চারপাশ থেকে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ঘিরে ফেলেন। তখনই দুই দলের নেতা-কর্মী ও পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ শুরু হয়। এরই একপর্যায়ে আমান উল্লাহ আমান অজ্ঞান হয়ে লুটিয়ে পড়েন। প্রায় দু-তিন মিনিট তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ছিলেন। তখন পুলিশ তাকে সেখান থেকে গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যায়।

 

সর্বশেষ খবর