সোমবার, ৩১ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা
রাষ্ট্রপক্ষকে হাই কোর্ট

আগুনসন্ত্রাস প্রসঙ্গ কোর্টে আনবেন না

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘আগুনসন্ত্রাসের প্রসঙ্গ কোর্টে আনবেন না। এসব কোর্টের বাইরের বিষয়। এভাবে কোর্টের পরিবেশ নষ্ট করবেন না।’ রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে উদ্দেশ করে এভাবেই বলেছেন হাই কোর্ট। বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর জামিন-সংক্রান্ত আবেদনের শুনানিকালে গতকাল বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ কথা বলেন। পরে আদালত নাশকতার অভিযোগে করা এক মামলায় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর জামিন আবেদনের শুনানি দুই মাসের জন্য স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ শাহীন মীরধা। আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাসুদুল হক। ২০১৩ সালে করা এ মামলায় আসলাম চৌধুরীকে শ্যোন অ্যারেস্ট (গ্রেফতার) দেখানো হয়। পরে তিনি হাই কোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে মামলার সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেন আদালত। সে ধারাবাহিকতায় গতকাল আদালতে হাজির হন তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানির শুরুতে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর বলেন, এ মামলায় অনেক আসামি আছেন, তাদের তথ্য সংগ্রহের জন্য সময় প্রয়োজন। এ মামলার আসামি আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্টের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার উৎখাতের অভিযোগ রয়েছে। তখন হাই কোর্ট বলেন, ‘তিনি আমেরিকা গেছেন নাকি ইসরায়েল গেছেন এসব আমরা দেখব না।’ পরে আদালত তদন্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশীদের কাছে মামলার বিষয়ে জানতে চেয়ে বলেন, ‘তদন্ত শেষ করতে এত সময় নিচ্ছেন কেন? এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে পারবেন না?’ তখন তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, এ মামলায় ১৮০ জন আসামি। তাদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে অনেক সময়ের প্রয়োজন। এ পর্যায়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী বলেন, সিনিয়রের সঙ্গে (অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল) যোগ করে আমি কিছু সাবমিশন রাখতে চাই। তিনি বলেন, একই ধরনের মামলায় আসলাম চৌধুরীকে হাই কোর্ট জামিন দিয়েছিলেন। কিন্তু আপিল বিভাগ সেই জামিন স্থগিত করে দিয়েছেন। সারওয়ার হোসেন বাপ্পী আরও বলেন, এরা (বিএনপি) তো আবার আগুনসন্ত্রাস শুরু করেছে। এ সময় হাই কোর্ট বলেন, ‘আগুনসন্ত্রাসের প্রসঙ্গ কোর্টে আনবেন না। এসব কোর্টের বাইরের বিষয়। এভাবে কোর্টের পরিবেশ নষ্ট করবেন না। কোর্ট তো ১৮ কোটি মানুষের।’ পরে আদালত এ মামলায় পুলিশের প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দুই মাস সময় দিয়ে শুনানি মুলতবি করেন।

সর্বশেষ খবর