মঙ্গলবার, ১ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

এমপির সামনে ভাঙচুর, আরেক এমপির বিরুদ্ধে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে এক মঞ্চ থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের পাঁচটি কমিটি ঘোষণা করায় এমপির উপস্থিতিতে মঞ্চ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটে রবিবার সন্ধ্যায় গোদাগাড়ীতে। অপরদিকে গতকাল সকালে রাজশাহী-৩ আসনের এমপির বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন কয়েকজন নেতা-কর্মী। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

রবিবার বিকালে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা সদরের একটি স্কুল মাঠে পৌরসভা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, যুব মহিলা লীগ ও কৃষক লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদ নতুন কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ম সম্পাদকদের নাম ঘোষণা করেন। এ সময় মঞ্চে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গোদাগাড়ী পৌর যুবলীগের কমিটি ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সম্মেলনে হট্টগোল শুরু হয়। ওই কমিটিতে উপজেলার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আবদুর রহিম ওরফে টিপুকে পৌরসভা যুবলীগের এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়। ঘোষিত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে থানার দালাল ও মাদক ব্যবসার পৃষ্ঠপোষক বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা। কমিটি ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই ক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা চেয়ার ভাঙচুর শুরু করে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। একপর্যায়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন এমপি। এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী জানান, স্থানীয় একটি পক্ষের ইন্ধনে শান্তিপূর্ণ সম্মেলনে হট্টগোল করা হয়েছে। যারা পদে থেকেও কাজ করেন না, তারা বাদ পড়ায় এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। তানোর-গোদাগাড়ী জামায়াত-বিএনপি-অধ্যুষিত এলাকা ছিল। এখন আওয়ামী লীগ বাড়তে বাড়তে এমন অবস্থা হয়েছে, পদের যোগ্য লোকের অভাব নেই। একটা ছেলে সাধারণ সম্পাদক হতে চেয়েছিল, তাকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার সমর্থকরা কয়েকটা চেয়ার ভেঙেছে। এটা কী কোনো খবর! আমি নিজেই হট্টগোল থামিয়ে এসেছি। এদিকে গতকাল সকালে নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে আবারও রাজশাহী-৩ আসনের এমপি আয়েন উদ্দিনের বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেছেন মোহনপুর আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী। তারা অভিযোগ করেন এমপি আয়েনের ভগ্নিপতি উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিন শাহ, উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মুর্শেদ গোলাম কিবরিয়া, বাবর আলী, সারওয়ার জাহান সাজ্জাদ, জুয়েল রানা, বাবলু হোসেন, লুৎফর রহমানের হুমকি ও মানহানিকর ফেসবুক পোস্টের কারণে তারা এলাকায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় পড়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে বাড়ি-ঘর ছেড়ে চলে যেতে হবে। মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন- মোহনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক আজাহার আলী, আওয়ামী লীগ কর্মী আফজাল হোসেন, মহিলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক উম্মে হাবিবা, মোহনপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আহসান রনি।

এমপি আয়েন উদ্দিন বলেন, যারা মানববন্ধন করছেন, তারা এবারই প্রথম না। মাঝে মাঝেই করেন। একজন নেতা তাদের ইন্ধন দিয়ে এসব করান। সামনে নির্বাচন, তাই আমাকে বিতর্কিত করতে সামনে হয়তো আরও মানববন্ধন হবে। এসব নিয়ে না ভেবে এলাকার কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখছি।

সর্বশেষ খবর