বুধবার, ২ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলবদের খুঁজতে কমিশন

নিজস্ব প্রতিবেদক

বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলবদের খুঁজতে কমিশন

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার কুশীলবদের খুঁজতে কমিশনের রূপরেখা প্রস্তুত, জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি পেলে শিগগিরই বিষয়টি সংসদে উঠবে। জাতীয় প্রেস ক্লাবে গতকাল জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুলের লেখা ‘পনেরো আগস্টের নেপথ্য কুশীলব’ শীর্ষক বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, বঙ্গবন্ধু গবেষক ও ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুই খুনি এ এম রাশেদ চৌধুরী এবং নূর চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে আনার জোর চেষ্টা চলছে। এর মধ্যে এ এম রাশেদ চৌধুরী আমেরিকায় অবস্থান করছে। আর এস এইচ এম বি নূর আছে কানাডায়। কানাডা যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে, সেটা আমরা উত্তরণের চেষ্টা করছি। আমরা কানাডা সরকারকে অনুধাবন করানোর চেষ্টা করছি। একটা স্টেজে গিয়ে বলব, আমাদের এত দিনের বন্ধুত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে, যদি তাকে ফেরত না দেওয়া হয়। রাশেদ চৌধুরী সম্পর্কে এতটুকু বলতে পারি, আমরা আলোচনা করছি। আপাতত এর থেকে বেশি আর কিছু বলতে চাই না। আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচারের দুই তিনটা তাৎপর্য আছে। এই বিচার না হওয়ার কারণে মানুষের মধ্যে একটা ধারণা ছিল, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারই হয় না, সেখানে আমাকে কেউ খুন করলে তার তো বিচার হবেই না। এটা মনস্তাত্ত্বিকভাবে মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছিল। এখন কিন্তু সেই জায়গা থেকে উঠে এসেছে। এটি দেশের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশকে আবারও পাকিস্তানি ধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র হয়েছিল উল্লেখ করে সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী বলেন, ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিতে নানা কৌশল করেছিল তৎকালীন ক্ষমতা দখলকারী জিয়াউর রহমানসহ অনেকে। তার আমলে এই হত্যার বিচারের পথ রুদ্ধ করে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু গবেষক ও ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, ১৯ শতকে জার্মান ইতিহাসবিদ পল র?্যাঙ্ক বলেছিলেন, ‘ইতিহাস হচ্ছে নগ্ন সত্য।’ মনজুরুল আহসান বুলবুল এই বইয়ে ইতিহাসের নগ্ন সত্য তুলে ধরেছেন। সেদিন বঙ্গবন্ধুর স্বজন-পরিজনসহ ১৯ জন হত্যার শিকার হয়েছিলেন। খুনিদের বিচার হয়েছে তবে তার রায় অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। বইটির লেখক সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল অনুষ্ঠানে বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে। কিন্তু এর নেপথ্যে কুশীলবদের চিহ্নিত এবং বিচার করা হয়নি। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পেছনে থাকা কুচক্রী মহলের কর্মকাণ্ড নিয়ে বইটি লেখা হয়েছে। এতে দেশি-বিদেশি প্রামাণ্য তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর