শিরোনাম
শনিবার, ৫ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা
জাতিসংঘে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বরাদ্দ কমানোয় বাংলাদেশে রোহিঙ্গারা নিদারুণ পরিস্থিতিতে

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি

বরাদ্দ কমানোয় বাংলাদেশে রোহিঙ্গারা নিদারুণ পরিস্থিতিতে

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, মিয়ানমারের সামরিক জান্তার নিষ্ঠুর আচরণে দেশটির প্রতি পাঁচজন মানুষের মধ্যে একজন পুষ্টিহীনতার ভিকটিম হয়েছে। একই কারণে বাস্তুচ্যুত ১২ লাখের মতো রোহিঙ্গার নিজভূমে ফেরা সম্ভব হচ্ছে না। এসব রোহিঙ্গার জন্য বরাদ্দ কমাতে কমাতে দৈনিক মাথাপিছু মাত্র ২৭ সেন্টে (২৯ টাকা) নেমে এসেছে। এ কারণে তারা বাংলাদেশের আশ্রয় শিবিরে নিদারুণ এক পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। ব্লিঙ্কেন ৩ আগস্ট জাতিসংঘ সদর দফতরে আয়োজিত নিরাপত্তা পরিষদের সভায় এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, এ বছর বিশ্ব খাদ্য সংস্থা ১৭ কোটি ১০ লাখ ক্ষুধার্ত মানুষের মধ্যে খাদ্য বিতরণের লক্ষ্যে ২৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ের পরিকল্পনা নিয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত মাত্র ৪.৫ বিলিয়ন ডলার পেয়েছে সংস্থাটি। অর্থাৎ পরিকল্পনার মাত্র ১৮ ভাগ পাওয়া গেছে। অর্থ না পেলে তার খেসারত দিতে হবে বড় একটি জনগোষ্ঠীকে। তাই ক্ষুদ্র এবং উন্নয়নশীল দেশসমূহের সহযোগিতাকে আমরা স্বাগত জানালেও বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশসমূহকে বড় অঙ্কের অর্থ নিয়ে এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করছি। যেসব সদস্যরাষ্ট্র নিজেদের বিশ্বের নেতা মনে করছে, তারা এখন অধিক পরিমাণের অর্থ-সহায়তা দিয়ে তার প্রমাণ দিতে পারে। সবার প্রতি মানবিকতার স্বার্থে এটা আমার উদাত্ত আহ্বান। অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, একদিকে ক্ষুধা, আরেকদিকে যুদ্ধজনিত পরিস্থিতি গোটাবিশ্বের শতাধিক দেশের খাদ্য নিরাপত্তাকে অনিশ্চিত করে তুলেছে। গত বছর ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা এবং সুদানে দাঙ্গা-হাঙ্গামার কারণে বিশ্বের ১১ কোটি ৭০ লক্ষাধিক মানুষ চরম দারিদ্র্যতে নিপতিত হয়েছে। রাশিয়া তার আগ্রাসি তৎপরতাকে ফলপ্রসূ করতে ইদানীং খাদ্যকে মারণাস্ত্রে পরিণত করেছে-যা যুদ্ধাপরাধের শামিল। যুদ্ধ ও নানাবিধ কারণে অস্থিরতায় নিপতিত বিশ্বের পরিস্থিতিতে বিচলিত পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি করোনা মহামারির রেশ না কাটতেই ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট চরমে উঠেছে। এ পরিস্থিতিতে সামর্থ্যবানরা যদি সরব না হই তাহলে ইউক্রেন, সুদান, ইয়েমেন, বুরকিনা ফাসো, সাউথ সুদান, সোমালিয়ায় চরম দুর্ভিক্ষ অবস্থা দেখা দেবে।

সর্বশেষ খবর