সোমবার, ৭ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

ডেঙ্গুতে এক দিনে সর্বোচ্চ আক্রান্ত ২৭৬৪ জন

মৃত্যু আরও ১০ জনের

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডেঙ্গুতে এক দিনে সর্বোচ্চ আক্রান্ত ২৭৬৪ জন

মুগদা হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুর চিকিৎসা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এক দিনে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৭৬৪ জন। হাসপাতালে ভর্তির এ সংখ্যা এ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। গতকাল আক্রান্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১৩ জনে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। গত ৩০ জুলাই এক দিনে ২ হাজার ৭৩১ জন হাসপাতালে ভর্তি হন, যা এর আগে এ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল। গতকাল আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১ হাজার ৭৮ ও ঢাকার বাইরের ১ হাজার ৬৮৬ জন। এ ছাড়া ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে সাতজন ঢাকার ও তিনজন ঢাকার বাইরের বাসিন্দা।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৬৬ হাজার ৭৩২ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৩৫ হাজার ৬০১। ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন ৩১ হাজার ১৩১ জন। একই সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৭২ জন। এর আগে ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ২৮১ জন মারা যান।

ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে তরল স্যালাইন। অনেক হাসপাতালে এ স্যালাইনের সংকট দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর কী ভূমিকা রাখছে? জবাবে অধিদফতরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, স্যালাইনের ব্যাপারটি শুধু স্বাস্থ্য অধিদফতরের ওপর নির্ভরশীল নয়। এ বিষয়ে ওষুধ কোম্পানি, ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরসহ অন্য সংস্থাগুলোরও বড় ভূমিকা আছে। গতকাল  দেশের চলমান ডেঙ্গু সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আয়োজিত ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে ডেঙ্গু পরীক্ষার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, স্যালাইনের ব্যাপারটি শুধু স্বাস্থ্য অধিদফতরের ওপর নির্ভর করে না। এক্ষেত্রে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরসহ আমাদের বেসরকারি বড় একটা সেক্টর রয়েছে। সেখানে বড় একটা কো-অর্ডিনেশন প্রয়োজন। আমার মনে হয় সে লক্ষ্যে আমাদের মন্ত্রণালয় কাজ করছে। সেক্ষেত্রে আমরা ওখান থেকে তথ্য নিয়ে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব। তিনি আরও বলেন, দেখা যায় যে কোনো রোগের প্রাদুর্ভাব একটা সময় সর্বোচ্চ পরিমাণ হয়ে এর পর ধীরে ধীরে কমতে থাকে। তবে সে ক্ষেত্রে প্রতি বছর একইভাবে মিল থাকবে তাও না। গত বছরে অক্টোবরে এসে ডেঙ্গু কমতে শুরু করে। তবে এবার সেটা আগস্টেও হতে পারে।

সর্বশেষ খবর