সোমবার, ৭ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

পাকিস্তানে বিক্ষোভ অব্যাহত, নির্বাচন পিছিয়ে যাচ্ছে

প্রতিদিন ডেস্ক

পাকিস্তানে বিক্ষোভ অব্যাহত, নির্বাচন পিছিয়ে যাচ্ছে

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে তার দল পিটিআই শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে। এদিকে এই পরিস্থিতিতে সামনে কী ঘটতে যাচ্ছে- সে ব্যাপারে স্পষ্ট কোনো ধারণা পাওয়া না গেলেও আভাস পাওয়া গেছে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অন্তত পাঁচ মাস পিছিয়ে যাচ্ছে। সূত্র : জিও নিউজ, এনডিটিভি। আলজাজিরা।

সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ইমরান খানকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে দেশের অনেক স্থানেই পিটিআইয়ের কর্মী-সমর্থকরা বিক্ষোভ করেছে। রাজধানী ইসলামাবাদে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। অস্থিতিশীল পরিস্থিতি মোকাবিলায় কঠোর অবস্থান নিয়েছে শাহবাজ শরিফ সরকার। এদিকে দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পিটিআই দলের ভাইস চেয়ারম্যান কুরেশি জানিয়েছেন, ইমরান খানের বিরুদ্ধে দেওয়া আদালতের রায় পূর্বনির্ধারিত। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে। আরেক খবরে বলা হয়, আগামী ৯ আগস্ট পাকিস্তানের সংসদ ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। সংবিধান অনুসারে, সংসদ ভেঙে দেওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু নতুন জনশুমারি প্রতিবেদন গ্রহণ করার ফলে পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন অন্তত পাঁচ মাস পিছিয়ে যেতে পারে। পাকিস্তানের আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার নির্বাচন পেছানোর এই ইঙ্গিত দিয়েছেন। আজম নাজির তারার গতকাল গণমাধ্যমকে বলেছেন, যেহেতু সর্বসম্মতভাবে ২০২৩ সালের জনশুমারি গ্রহণ করা হয়েছে, সেহেতু আইন অনুসারে, নির্বাচন কমিশন জনশুমারির ভিত্তিতে নতুন করে নির্বাচনী সীমারেখা টানবে। এটা করতে তারা ১২০ দিন সময় পাবে। সব মিলিয়ে নির্বাচন পাঁচ মাস পিছিয়ে যেতে পারে। এদিকে নির্বাচন পেছানো নিয়ে ক্ষমতাসীন জোটের মধ্যেই মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। জোটের শরিক মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি ২০২৩ সালের ডিজিটাল জনশুমারির বিরোধিতা করেছে। তারা ২০১৭ সালের জনশুমারি অনুসারে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র জড়িত নয় : মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর গতকাল বলেছে, তোশাখানা মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেফতার ও অন্যান্য রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে চলমান মামলা পাকিস্তানের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’। এর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র জড়িত নয়। ‘ইমরান খানের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুতের পেছনে মার্কিন সরকারের হাত রয়েছে’-এমন অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবি করে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর বলেছে, পাকিস্তানকে গণতান্ত্রিক নীতি ও আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহ্বান জানাই আমরা।

সর্বশেষ খবর