মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে বালুবাহী নৌযানের (বাল্কহেড) ধাক্কায় পিকনিকের ট্রলারডুবিতে আটজন নিহতের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া নিহতদের পরিবারপ্রতি ২৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছে।
নিহতরা হলেন- সিরাজদিখানের খিদিরপাড়া গ্রামের হ্যাপি আক্তার (৩০) ও তার দুই ছেলে সাকিব (৮) ও রাকিব (১২), বোন পপি আক্তার (৩৫), তার সন্তান সাজিবুল (৪), ফারিহান (১০), অপর বোন মোকসেদা (৪২), তার ছেলে মাহির (৫)। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, ট্রলারডুবির ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছেন তুরান (৮), নাবা (৫) ও এক মহিলাসহ আরও তিনজন। নিহত ও আহত সবার বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলার লতুব্দী ইউনিয়নের খিদিরপাড়া গ্রামে। নিহত সবার লাশ স্বজনদের কাছে গত রাতেই হস্তান্তর করেছে জেলা প্রশাসন। ওই সময় প্রতি পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছে। নিখোঁজদের জন্য গতকালও তল্লাশি অব্যাহত ছিল। এদিকে দুর্ঘটনায় পতিত ট্রলারটি গতকাল দুপুর ১টার দিকে উদ্ধার করেছে মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি চৌকশ দল। জেলা প্রশাসক আবু জাফর রিপন জানিয়েছেন, কীভাবে, কী কারণে এ দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে সে বিষয়ে তদন্ত করে তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার লক্ষ্যে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক ¯েœহাশীষ দাসকে প্রধান করে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত শনিবার সকালে ৪৬ জনের একটি দল সিরাজদিখানের লতুব্দী ইউনিয়নের খিদিরপুর গ্রাম থেকে পিকনিকের উদ্দেশে ট্রলারে করে পদ্মা সেতু দেখতে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে রাত সাড়ে ৮টার দিকে জেলার লৌহজং উপজলার রসকাঠি এলাকায় পদ্মার শাখা ডহুরী-তালতলা খালে বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।