বুধবার, ৯ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

রাজনীতিতে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ

প্রতিদিন ডেস্ক

রাজনীতিতে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে নির্বাচন কর্তৃপক্ষ পাঁচ বছরের জন্য রাজনীতিতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় ইমরানকে দোষী সাব্যস্ত করে ইসলামাবাদ আদালত তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার পর গতকাল এ নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এর মানে, ইমরান খান ২০২৮ সাল পর্যন্ত এমপি হিসেবে থাকতে এবং নির্বাচনে লড়া কিংবা সরকারি দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। ৫ আগস্ট ইমরান খানকে কারাদণ্ড দেওয়ার পর লাহোরের জামান পার্কের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়। ইমরান বলে আসছেন তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কিন্তু পাকিস্তান সরকার ইমরানকে গ্রেফতার কিংবা সাজা দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ইমরানকে রাজনীতিতে নিষিদ্ধ ঘোষণার আগে বিবিসিকে পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘আপনার কর্মের জন্য আইনত আপনাকে জবাবদিহি করতে হবে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়া একজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার হতেই হবে।’ ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ইমরান বিদেশি বিশিষ্টজনদের কাছ থেকে যেসব উপহার পেয়েছিলেন সেই রাষ্ট্রীয় সম্পদ তিনি ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বেআইনিভাবে বিক্রি করে দিয়েছিলেন বলে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে বলা হয়। এ নিয়ে ‘সচেতনভাবে মিথ্যা বলার’ দায়ে অভিযুক্ত করে অসৎ চর্চার জন্য সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে কারাদণ্ড দেন আদালত। ২০১৮ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন ইমরান খান। কিন্তু গত বছর পার্লামেন্টে এক অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হন। তার পর থেকে তাঁকে ঘিরে পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থির হয়ে আছে। দেশের প্রভাবশালী সেনাবাহিনীর সঙ্গেও ইমরানের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, ইমরানের সাজা হওয়ার প্রেক্ষাপটে পাঁচ বছরের জন্য তাঁকে কোনো নির্বাচনে লড়ার অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে।

পাকিস্তানের নিয়ম অনুযায়ী, দোষী সাব্যস্ত কোনো ব্যক্তি দেশটির নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া সময়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন না।

ইমরান খানের আইনজীবীরা তাঁর সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন। আজ ইসলামাবাদ হাই কোর্টে এ আপিলের শুনানি হবে।

সর্বশেষ খবর