ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিরতার পক্ষপাতী। মোদির এই মনোভাবের কথা জানিয়েছেন ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। বাংলাদেশের পাশে সব সময় থাকবেন- এ কথা বলার পর ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, তাঁর দেশ বাংলাদেশে শিগগিরই চাল রপ্তানি শুরু করবে। তিনি গতকাল ভারত সফররত আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের এক প্রতিনিধি দলকে এ আশ্বাস দেন। ২০ জুলাই ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ করে। ভারতের বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ দেখিয়ে ভারত সরকার এ সিদ্ধান্ত নেয়। একই সঙ্গে পিঁয়াজসহ পচনযোগ্য পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা নিয়েও আলোচনা হয়। বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল দুই দিন ধরে দিল্লি সফর করছে। ভারতের শাসক দল বিজেপির সভাপতি জগদীশ প্রসাদ নাড্ডার আমন্ত্রণের তাঁরা ভারতে আসেন। ‘বিজেপিকে জানুন’ কর্মসূচির অন্তর্গত এ সফর। গতকাল সংসদ ভবনে তাঁরা বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হন। এ সময় বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিরতা বজায় রাখা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সন্ধ্যায় বিজেপিদলীয় সংসদ সদস্য তেলেঙ্গানার ড. অরবিন্দ ধরমপুরী সফররত প্রতিনিধি দলের সম্মানে নৈশভোজ দিয়েছেন। তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য। ধরমপুরী ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক সদস্য। তাঁর সঙ্গে ভারত-বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে কথা হয়ে থাকতে পারে। ভারতের মন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি করে পণ্য রপ্তানির প্রস্তাব দেন। কী কী পণ্য ঢাকা রপ্তানি করবে তার একটা তালিকা দ্রুত প্রণয়নের পরামর্শ দেন তিনি।
বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি : আলোচনার সময় বাণিজ্যমন্ত্রী গোয়েল বলেন, দ্রুত সুসংহত আর্থিক অংশীদারির চুক্তি স্বাক্ষর হলে উভয় দেশ লাভবান হবে। বাংলাদেশের রপ্তানি বহুলাংশে বেড়ে যাবে। মন্ত্রী বলেন, আলোচনায় বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে। ভারতের মন্ত্রী বলেছেন, সমৃদ্ধিশালী, স্থির ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ ভারতের পক্ষে জরুরি। বিগত দশকে বাংলাদেশের প্রশংসনীয় উন্নতি হয়েছে। উন্নয়নের এই গতি রুদ্ধ হওয়া উচিত নয়। প্রতিনিধি দল সকালে যুদ্ধ জাদুঘর পরিদর্শন করেন। আজ তাঁরা কলকাতা হয়ে রাতে ঢাকা ফিরবেন।