জাতিসংঘ মহাসচিবের উপ-মুখপাত্র ফারহান হক বলেছেন, ‘আমরা বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ, বিশ্বাসযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনকে উৎসাহিত করব। প্রতিবাদ সমাবেশের ব্যাপারে, বিশ্বের যে কোনো স্থানেই হোক না কেন, আমরা চাই সব দেশের নিরাপত্তা বাহিনী শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ এবং সমাবেশকারীদের অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে যথাযথ ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে, এ ধরনের সমাবেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে।’ গত ৮ আগস্ট নিউইয়র্ক জাতিসংঘের সদর দফতরে সংস্থার নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রশ্ন ছিল, বাংলাদেশে ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল সে দেশ সফর করছে। ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ তাদের আন্তরিকভাবে স্বাগত জানিয়েছে। তবে সফরকারী পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে বৈঠকে বসতে অনীহা প্রকাশ করেছে বিএনপি। বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির চলমান ভাঙচুর ও রাস্তায় বিক্ষোভের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যা ঢাকার গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ কি মনে করে যে, বাংলাদেশে একটি শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বিএনপির মনোভাব সহায়ক?
![](/assets/archive/images/Print-Edition/2023/08.August/10-08-2023/BD-Pratidin_2023-08-10-10.jpg)
বাংলাদেশ প্রতিদিনের আরেকটি প্রশ্ন ছিল, বাংলাদেশ জাতিসংঘ উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রার বিভিন্ন সূচক যেমন ক্ষুধা ও দারিদ্র্য দূরীকরণ, শিক্ষার গুণগত মানের উন্নয়ন, লিঙ্গবৈষম্য দূরীকরণ, স্বাস্থ্যসেবা প্রদান প্রভৃতি অর্জনে ইতোমধ্যে প্রশংসনীয় অগ্রগতি সাধন করেছে। যেসব দেশ এসব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এগিয়ে আছে, আসন্ন এসডিজি সামিট বা সামিট-পরবর্তী সময়ে জাতিসংঘ তাদের পুরস্কার প্রদানের পরিকল্পনা করছে কি না, যাতে অন্যান্য দেশ উৎসাহিত বোধ করে। জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের উপ-মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, খুবই ভালো। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য তথা এসডিজি সামিট শুরু হোক। তখন দেখা যাবে কীভাবে আমরা এ বিষয়টির বাস্তবায়ন ঘটাতে পারি। তবে অবশ্যই আমি বিষয়টি পরিষ্কার করতে চাই, অংশগ্রহণকারী সবার সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী উত্থাপিত প্রস্তাবের আলোকে কিছু করার কথা ভাবব।