লাবলু আনসার, যুক্তরাষ্ট্র
প্রেসিডেন্ট বাইডেনসহ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির পদস্থ কয়েক কর্মকর্তা, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট প্রদানকারী অ্যাটর্নিকে হত্যার হুমকি প্রদানকারী ৭৫ বছর বয়সী ক্রেইগ ডি রবার্টসন বুধবার এফবিআইর গুলিতে নিহত হয়েছেন। ইউটাহ স্টেটের সোল্ট লেক সিটিতে অবস্থিত ফেডারেল কোর্টে ৮ আগস্ট দায়েরকৃত মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এফবিআই ওই স্টেটের প্রভো সিটিতে ক্রেইগের বাড়ি ভোর সোয়া ৬টায় ঘেরাও করেছিল তাকে গ্রেফতারের জন্য। ক্রেইগের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগের তিনটি ধারায় মামলা হয়েছে। গ্রেফতার অভিযানের সময় কী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যে জন্য গুলিবর্ষণের প্রয়োজন হয়, সেটি খতিয়ে দেখছে এফবিআইর পরিদর্শকরা।
উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইউটাহতে নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহের সমাবেশে অংশ নিতে পার্ক সিটিতে অবতরণের ঠিক ১২ ঘণ্টা আগে গ্রেফতারের এ অভিযান চালানো হয়। দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবার ক্রেইগ তার ফেসবুকে লিখেছিলেন, আমি শুনলাম যে বাইডেন ইউটাহতে আসছেন। সেটি জেনেই আমি আমার এম২৪ স্নাইপার রাইফেলটি (গুপ্ত ঘাতক) বের করে তা ব্যবহারের উপযোগী করি। মরিচা পরিষ্কারের পর রেডি করে রেখেছি। তা দিয়ে বাইডেনকে স্বাগত জানাব। এ লেখার পাশে রাইফেলের ছবিসহ নিজের ছবিও পোস্ট করেন। ক্রেইগ নিউইয়র্ক সিটির ম্যানহাটনের ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি আলভিন ব্র্যাগকেও হত্যার হুমকি দিয়েছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, যৌথ হামলার কথা ফাঁস না করার জন্য ট্রাম্প একজনকে নগদ অর্থ দিয়েছিলেন ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে, সেই অপরাধে ম্যানহাটন ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন এই ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি। টাম্পের আরও কিছু অপরাধের তদন্ত করায় নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশা জেমসকেও হত্যার হুমকি দেন এই ব্যক্তি। অর্থাৎ ট্রাম্পের অপকর্মের বিরুদ্ধে যারাই সোচ্চার হয়েছেন তাদেরই টার্গেট করেছেন ক্রেইগ।