শুক্রবার, ১১ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

নিবন্ধন পেল সুপ্রিম পার্টি, জাতীয়তাবাদী আন্দোলন

নিজস্ব প্রতিবেদক

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পেল নতুন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)। এর মধ্যে বিএনএম ‘নোঙর’ ও বিএসপি ‘একতারা’ প্রতীক পেয়েছে। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকারের ভোটে দল দুটি নিজস্ব প্রতীকে অংশ নিতে পারবে। এই দল দুটিকে নিয়ে ইসির নিবন্ধিত দলের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৪।

কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন গতকাল সর্বসম্মতিক্রমে এ দুটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানিয়েছেন

ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম। তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে এ দুটি দল নিবন্ধনযোগ্য হিসেবে বিবেচিত করা হয়েছিল। এরপর তাদের বিষয়ে দাবি-আপত্তির শুনানি করেছে ইসি। সব কিছু পর্যালোচনা করে চূড়ান্তভাবে নিবন্ধন দেওয়া হলো।’ ইসি সচিবালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করার পর সংশ্লিষ্ট দল দুটোকে নিবন্ধন সনদ তুলে দেওয়া হবে।

২০২২ সালের মে মাসে নতুন দলের নিবন্ধন আবেদন চায় ইসি। তিন মাসের সময় দিলেও তাতে সাড়া না পেয়ে অক্টোবর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। নির্ধারিত সময়ে শখানেক নতুন দল নিবন্ধন পেতে আবেদন করে। এর মধ্যে প্রাথমিক বাছাইয়ে ঝরে পড়ে ৮৭টি আবেদন, টিকে থাকে ১২টি দল। মাঠ পর্যায়ের তদন্ত শেষে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয় বিএনএম ও বিএসপি। এ বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে আগামী বছরে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের কথা রয়েছে। এক্ষেত্রে দলকে ভোটে অংশ নিতে ইসির নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে দল নিবন্ধনের এ নিয়ম চালু করে ইসি।

প্রায় দেড় দশকে ৪৯টি দল কমিশনের নিবন্ধন পেয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে। ২০০৮ সালে শর্তসাপেক্ষে নিবন্ধন পেলেও স্থায়ী সংশোধিত গঠনতন্ত্র দিতে না পারায় নবম সংসদ নির্বাচনের ২০০৯ সালে ফ্রিডম পার্টির নিবন্ধন বাতিল হয়। দশম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৩ সালে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন আদালত অবৈধ ঘোষণা করে। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ইসির প্রকাশিত গেজেটে বলা হয়, আদালত জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করায় আরপিও অনুযায়ী দলটির নিবন্ধন বাতিল করা হলো।

২০১৭ সালে নিবন্ধিত দলগুলোর কমিটি ও অফিসের খোঁজে মাঠে নামে ইসি। শর্ত পালনে ব্যর্থ দলগুলোর নিবন্ধন বাতিলের উদ্যোগ নেওয়া হয়; এ ধারাবাহিকতায় পিডিপি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন ও জাগপার নিবন্ধন বাদ যায়।

ড. এ টি এম শামসুল হুদা নেতৃত্বাধীন ইসি নবম সংসদ নির্বাচনের সময় ৩৯টি দল নিবন্ধন দেয়, কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ নেতৃত্বাধীন ইসি দুটি দল নিবন্ধন দেয়। কে এম নুরুল হুদা কমিশন একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় নিবন্ধনযোগ্য কোনো দল পায়নি। তবে আদালতের আদেশে কয়েকটি দল পরে যুক্ত হয়।

সর্বশেষ খবর