শনিবার, ১২ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

ফের টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ফের টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান

তামিম ইকবাল ওয়ানডে নেতৃত্ব ছেড়ে দেন ৩ আগস্ট। এরপর থেকে নেতৃত্বশূন্য ছিল বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেট দল। অবশ্য এক সপ্তাহের বেশি অধিনায়ক ছাড়া থাকেনি টাইগাররা। গতকাল নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ২০১৭ সালের পর পুনরায় অধিনায়ক হয়েছেন টাইগার ওয়ানডে দলের। গতকাল বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন আনুষ্ঠানিকভাবে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের অধিনায়ক হিসেবে সাকিবের নাম ঘোষণা করেন, ‘এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে সাকিবকে অধিনায়ক করা হয়েছে। বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপের দল আগামীকাল ঘোষণা করা হবে। আপাতত এশিয়া কাপের ১৭ জনের দল দেবেন নির্বাচকরা।’ এশিয়া কাপের ১৭ সদস্যের চূড়ান্ত স্কোয়াড আগ ঘোষণা করবে ক্রিকেট বোর্ড। কারন, ৩০ আগস্ট শুরু এশিয়া কাপের দল ঘোষণার আজ শেষ দিন। এশিয়া কাপের দলটিকে বিশ্বকাপে রাখার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্বকাপ শুরু ৫ অক্টোবর। সাকিব এবার ওয়ানডে নেতৃত্ব পেলেন চতুর্থবারের মতো। এর আগে ২০০৯, ২০১৫ ও ২০১৭ সালে ওয়ানডে অধিনায়ক ছিলেন তিনি। বিসিবি অধিনায়ক হিসেবে সাকিবের নাম ঘোষণার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট আবার এক অধিনায়ক চক্রে ফিরেছে। তামিমের সরে দাঁড়ানোর পর নেতৃত্বের আলোচনায় উঠে আসেন তিন ক্রিকেটার-সাকিব, লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ। সাকিব ক্যারিয়ারে ৫০টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ৪৬.৯৩ শতাংশের হারে টাইগারদের জয় ২৩টি। লিটন নেতৃত্ব দিয়েছেন মাত্র ৫ ম্যাচে। জয় ৩টিতে। যার দুটি আবার শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে। মেহেদী মিরাজ কখনোই মূল দলের অধিনায়ক ছিলেন না। ২০১৬ সালে ঘরের মাঠে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক ছিলেন স্পিন অলরাউন্ডার। আলোচনায় তিন ক্রিকেটার থাকলেও বিসিবির একমাত্র পছন্দ ছিল সাকিব। স্পিন অলরাউন্ডার লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ (এলপিএল) খেলছেন বলে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিল না ক্রিকেট বোর্ড। অবশেষে সাকিবের সম্মতি মিলে এবং গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে নাম ঘোষণা করে বোর্ড। এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের অধিনায়ক হিসেবে সাকিবের নাম ঘোষণা করলেও দীর্ঘমেয়াদের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। তার সঙ্গে আলোচনা করেই দীর্ঘমেয়াদি অধিনায়কের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বিসিবি, বলেন নাজমুল পাপন- ‘ওর সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদের অধিনায়কত্বের ব্যাপারে আলোচনা হয়নি। ও দেশে এলে বলতে পারব। দীর্ঘমেয়াদে ওর পরিকল্পনাটাও জানতে হবে।’ সাকিব প্রথমবার দায়িত্ব পান ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে। মাশরাফির সহকারী হিসেবে ক্যারিবীয় সফরে গিয়েছিলেন। টেস্টে আহত হন মাশরাফি। এরপর পুরো সিরিজের দায়িত্ব পান সাকিব। ২০১১ সালে বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দেন ঘরের মাঠে। ওই বছরই দায়িত্ব হারান। ২০১৫ সালে মাশরাফির ইনজুরির সুযোগে দুটি ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দেন। তৃতীয়বারের মতো দায়িত্ব পালন করেন আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৭ সালে। এবার ৬ বছর পর চতুর্থবারের মাতো ওয়ানডে অধিনায়ক হলেন। মাশরাফির পর দিনি দ্বিতীয় অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে নেতৃত্ব দেবেন। মাশরাফি ২০১৫ ও ২০১৯ সালে অধিনায়ক ছিলেন।

 

সর্বশেষ খবর