বুধবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা
ফের কেমিক্যাল গুদামে আগুন

শিশুসহ পরিবারের পাঁচজন নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক ও কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি

শিশুসহ পরিবারের পাঁচজন নিহত

কামরাঙ্গীরচরে গতকাল কেমিক্যাল গুদামে আগুন লাগে -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ঢাকার কেরানীগঞ্জের জিনজিরার গদাবাগ এলাকায় একটি কেমিক্যালের গুদামে ভয়াবহ আগুনে নারী-শিশুসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। গতকাল ভোর সাড়ে ৪টায় আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। নিহতরা হলেন সৌদিপ্রবাসী মিলনের স্ত্রী জেসমিন রাত্রি (৩০), তাদের একমাত্র মেয়ে ঈসা (১৩) এবং মিলনের ভাই সোহাগের স্ত্রী মিনা (২৪) ও তাদের শিশুকন্যা তাইয়েবা (২)। পরে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সোহাগও (৩০)।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানান, কেমিক্যাল গুদামের মালিক হাজি আবুল হাসনাত টুলটুল। তিনি গুদামে বিভিন্ন কেমিক্যাল মজুদ রেখে ব্যবসা করেন।

স্থানীয় বাসিন্দা আরিফ হোসেন বলেন, আগুনে তার মা পারুল বেগম, ছেলে হানিফ ও মেয়ে তানহা আক্তার দগ্ধ হয়েছেন। তারা সবাই শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রধান কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক সামসুজ্জামান বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে ছয়টি ইউনিট কাজ করেছে। এখন আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে কী কারণে আগুন লেগেছে তা তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না।

এদিকে ঢাকার জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি নিহত ও আহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ২৫ হাজার এবং আহতদের ১৫ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। এ সময় জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান বলেন, অবিলম্বে কেরানীগঞ্জের সব অবৈধ কেমিক্যাল গুদাম বন্ধ করে দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া চারজনের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। এলাকাবাসী জানিয়েছে, ওই গুদামে জুতা তৈরির বিভিন্ন কেমিক্যাল মজুদ ছিল। গুদামের মালিক হাজি টুলটুলসহ অন্যরা পলাতক। জানা গেছে, সৌদিপ্রবাসী মিলন আর সোহাগ আপন ভাই। একই বাড়িতে পাশাপাশি ঘরে বসবাস করেন তারা। স্থানীয় বাসিন্দা স্বাধীন বলেন, কেমিক্যাল গুদামটি কোনো নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাব্যবস্থাও ছিল না। গোপনীয়ভাবে গুদামটি পরিচালনা করা হতো। খোরশেদ আলম নামে আরেকজন বলেন, এখানে রাতের আঁধারে গুদামের মালামাল আনা-নেওয়া করা হতো।

 

সর্বশেষ খবর