শিরোনাম
শুক্রবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা
কর্মসূচি বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের

ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন বিচার বিভাগের, মন্তব্য অ্যাটর্নি জেনারেলের

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে নিজেদের ‘শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’ উল্লেখ করে বক্তব্য দেওয়ায় দুই বিচারপতির পদত্যাগ দাবি করেছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দক্ষিণ হলে গতকাল জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়। এ ছাড়া তাদের পদত্যাগ দাবিতে সোমবার সারা দেশের জেলা আইনজীবী সমিতিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

এদিকে বিচারপতিদের বিরুদ্ধে আইনজীবীদের এমন কর্মসূচি উচ্চ আদালতের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। সুপ্রিম কোর্টে তাঁর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, তাঁরা (বিএনপি সমর্থক আইনজীবী) সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে কর্মসূচি দিয়েছেন।

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন, সিনিয়র আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, বারের সাবেক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম সজলসহ বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, দেশের আপামর জনগণের আশাভরসার শেষ আশ্রয়স্থল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা সংবিধানের তৃতীয় তফসিলে বর্ণিত শপথের মাধ্যমে দেশের সংবিধান ও আইনের রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তাবিধানের অঙ্গীকার করে থাকেন। একই সঙ্গে ভীতি বা অনুগ্রহ, অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী না হয়ে সবার প্রতি আইন অনুযায়ী যথাবিহিত আচরণ করার অঙ্গীকার করে থাকেন। ১৫ আগস্টের আলোচনা সভায় কয়েকজন বিচারপতির বক্তব্যের কিছু অংশ বিচারপতি হিসেবে নেওয়া শপথের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন কি না তা প্রশ্নের দাবি রাখে। সাধারণত কোনো রাজনৈতিক কর্মী দলীয় সভায় যে ধরনের বক্তব্য দিয়ে থাকেন, অনেক বিচারপতির বক্তব্যে তেমনই প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায়। তিনি বলেন, এ ধরনের বক্তব্য কতটুকু বিচারকসুলভ বা রাজনৈতিক মতাদর্শের পরিচায়ক তা সহজেই অনুমেয়। তাঁরা বিচারপতির মহত্ত্ব ধারণ করতে পারেন কি না তা জনমনে অনেক সংশয় ও প্রশ্ন রাখছে; বস্তুতপক্ষে একজন রাজনীতিকের বক্তব্যই প্রতিধ্বনিত হয়েছে বলে অনেকেই মনে করেন।

সর্বশেষ খবর