রবিবার, ২০ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা
কীটতত্ত্ববিদদের সংবাদ সম্মেলন

মশা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সিটি করপোরেশন তামাশা করছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

মশা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ঢাকা দুই সিটি করপোরেশন তামাশা করছে বলে মন্তব্য করেছেন কীটতত্ত্ববিদরা। তারা বলেছেন, মশা নিধনে পানিতে হাঁস ও ব্যাঙ ছাড়ানো কার্যক্রম খুবই হাস্যকর, লোক দেখানো। এসব কার্যক্রমের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। পৃথিবীর আর কোথাও এমনটা দেখা যায় না। গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ ভেক্টর ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ আয়োজিত ‘কেন এই ডেঙ্গু মহামারি? পরিত্রাণ কোন পথে’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে কীটতত্ত্ববিদরা এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে কীটতত্ত্ববিদ ড. মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন সাবেক সচিব মার্গুব মোরশেদ, কীটতত্ত্ববিদ ইন্দ্রানী ধর, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাইফুর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল কীটতত্ত্ববিদ তাহমিনা আক্তার, কীটতত্ত্ববিদ ড. আবু ফায়িজ মো. আসলাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. আফরোজা সুলতানা।

মঞ্জুর আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের বর্তমানের যে ডেঙ্গু পরিস্থিতি তা প্রাকৃতিকভাবে বেড়েছে এবং প্রাকৃতিকভাবে কমে যাবে। সিটি করপোরেশন যে কার্যক্রম দেখাচ্ছে তাতে মূলত কোনো কাজ হচ্ছে না। কীটতত্ত্ববিদের দায়িত্বের জায়গা থেকে আমরা কথা বলছি। ম্যান মসকিউটো অ্যাফেক্ট কমাতে হবে। একটি পূর্ণাঙ্গ মশা তিন থেকে চার সপ্তাহ পর্যন্ত ডেঙ্গু ছড়াতে পারে। উড়ন্ত মশা মারার বিকল্প নেই। ফগিংয়ের মাধ্যমে ২০ শতাংশও মশা মারা সম্ভব নয়। ইউএলভি ফর্মুলার মাধ্যমে অ্যাডাল্ট মশা মারতে হবে। মশা যে পর্যায়ে চলে এসেছে সেখান থেকে কন্ট্রোল করা কঠিন। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে নিয়ন্ত্রণে এসেছে।’

তিনি বলেন, ডোবা-নালায় এডিস মশা ব্রিড করে সেটার কোনো সায়েন্টিফিক ভিত্তি নেই। এসব বিভ্রান্তিকর তথ্যের জন্য যারা নিয়ন্ত্রণ করবে তাদেরও দ্বিধাদ্বন্দ্বে ফেলে। ঢাকায় ডেঙ্গুতে ক্রস-ইনফেকশন হচ্ছে। ৯৫ শতাংশ অ্যাডাল্ট মশা না মারতে পারলে বর্তমান ব্রিডিং কমানো সম্ভব নয়।

বিটিআই নিয়ে মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন বিটিআই নামে যা এনেছে তা পয়জন। কোনো ধরনের নিয়মনীতি না মেনে এ বিটিআই আনা হয়েছে এবং তা প্রয়োগও করা হয়েছে। বিটিআইয়ের বিভিন্ন ক্লাসিফিকেশন আছে। যেটা উত্তর সিটি করপোরেশন এনেছে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি সেটা পাবলিক হেলথের জন্য নয়, কৃষির জন্য।

সর্বশেষ খবর