সোমবার, ২১ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অগ্নিসন্ত্রাসের মতো মানুষের তৈরি দুর্যোগ মোকাবিলা করেও আমরা উন্নয়নের পথে দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে চাই। তিনি জানান, তার সরকার চায় বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক। গতকাল সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নবনির্মিত ১৫ তলাবিশিষ্ট ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ভবন’ ও ১৩ তলাবিশিষ্ট ‘তথ্য কমিশন ভবন’ উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে একই সঙ্গে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) কমপ্লেক্সেরও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে বিটিআরসি ভবন, তথ্য কমিশন ভবন এবং বিএফডিসি কমপ্লেক্স (তেজগাঁও) প্রাঙ্গণ থেকে সংশ্লিষ্টরা সংযুক্ত ছিলেন। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠানে নবনির্মিত বিটিআরসি ও তথ্য কমিশন ভবন এবং বিএফডিসি কমপ্লেক্সের ওপর অডিও-ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি এবং ২০৪১ সালের মধ্যে এ বাংলাদেশকে আমরা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। সেখানে আমাদের স্মার্ট জনগোষ্ঠী হবে, স্মার্ট ইকোনমি হবে, স্মার্ট সোসাইটি হবে, স্মার্ট গভর্নমেন্ট তথা প্রতিটি ক্ষেত্রই স্মার্ট হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কোনো রাখঢাক (গোপনীয়) নেই। কোনো তথ্য ফাঁস হয়ে যাবে, সেই চিন্তাও আমাদের নেই। আমরা যা করব সম্পূর্ণভাবে জনগণকে জানিয়ে, জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকেই করব। জনগণের কল্যাণ করাটাই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য এবং সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। দেশটাকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলাই তাঁর সরকারের লক্ষ্য এবং এ মাসেই জাতির পিতাকে হারানোর বিয়োগান্তক অধ্যায় স্মরণ করে সরকারপ্রধান বলেন, জাতির পিতার তৈরি করে দেওয়া ভিত্তি বা শুরু করে যাওয়া প্রতিটি কাজ সফলভাবে করতে পেরে আমি দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

দেশে স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের অবারিত সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে : ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দেওয়ায় দেশে স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের অবারিত সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরাই বাংলাদেশ টেলিভিশন, বিটিভি ওয়ার্ল্ড এবং সংসদ টেলিভিশনের পাশাপাশি ৪৪টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল, ২২টি এফএম রেডিও এবং ৩২টি কমিউনিটি রেডিও, ১৪টি আইপি টিভিসহ অসংখ্য সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টালের অনুমোদন দিয়েছি। আমরা সাংবাদিকদের কল্যাণে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেছি। জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা-২০১৭, জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা-২০১৪-সহ বিভিন্ন আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন করেছি। দেশে এখন টেলি ডেনসিটি ১০৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে এখন মোবাইল গ্রাহক ১৮ কোটির ওপরে। ১৭ কোটি মানুষ কিন্তু সিম ব্যবহার হচ্ছে ১৮ কোটির ওপরে। মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে এমন গ্রাহকের সংখ্যা ১২ কোটি ৭০ লাখ।

‘প্রত্যেক মানুষের জীবন যেন নিরাপদ হয়, সে জন্যই সর্বজনীন পেনশন স্কিম’ : সদ্য চালু হওয়া সর্বজনীন পেনশন স্কিমের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে অবসর ভাতা কেবল সরকারি কর্মকর্তারাই পেত, সেটাকে আমরা এখন সর্বজনীন করে দিয়েছি। কেননা যখন তাদের (অবসরে যাওয়া বেসরকারি কর্মজীবী) কাজ করার সুযোগ থাকবে না তখন তাদের জীবনটা যেন অর্থবহ থাকে এবং প্রত্যেক মানুষের জীবনটা যেন নিরাপদ হয়। তিনি বলেন, আমরা যখনই কোনো উন্নয়নের উদ্যোগ নিই, তখনই দেখতে পাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ভিত্তি প্রদান করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া ভিত্তির ওপর নির্ভর করেই আজকের বাংলাদেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

সর্বশেষ খবর