বুধবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

আমাদের লড়তে হবে : কাদের

২ সেপ্টেম্বর ঢাকায় সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী ২ সেপ্টেম্বর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন উপলক্ষে ঢাকায় ‘সুধী সমাবেশ’ করবে আওয়ামী লীগ। সমাবেশ সফল করতে গতকাল বিকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী জেলার সাংগঠনিক টিমের সঙ্গে বৈঠক করেন দলের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং কেন্দ্রীয় নেতারা। এতে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেয়ররা অংশ নেন। বৈঠকে ওবায়দুল কাদের বলেন, অন্ধকারের শক্তি চ্যালেঞ্জ করছে, আমাদের লড়তে হবে। নির্বাচন বানচাল করবে, সেটি আর সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সাম্প্রদায়িকতা আর জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়বে। তারেক রহমানকে বাংলাদেশের মানুষ নেতা মানবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজ, দণ্ডিত ও লুটেরাদের হাতে দেশের শাসন ক্ষমতা তুলে দেবে না জনগণ। নির্বাচন ঘিরে বিএনপির অপতৎপরতা রুখতে আমাদের নেতা-কর্মীদের সজাগ থাকতে হবে। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা জনসমুদ্রে রূপ নেবে। মহাসমুদ্রের সে স্রোত দেখার অপেক্ষায় আছি। আওয়ামী লীগ আদর্শ পতাকাবাহী সংগঠন। আমরা একাত্তরের সন্তান; ৭৫ এর সন্তান; তিন নভেম্বরের সন্তান; একুশ আগস্টের সন্তান। আমাদের চেতনায়, আমাদের হৃদয়ে অনেক বেদনা।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের রাজনৈতিক স্বাধীনতার লিগ্যাসি, তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামের লিগ্যাসি, বাংলাদেশে এই দুটি লিগ্যাসি টিকে আছে দাপটের সঙ্গে। যত দিন বাংলাদেশ থাকবে, যত দিন পতাকা উড়বে, তত দিন এ দেশে দুটি মানুষের মৃত্যু হবে না। একজন বঙ্গবন্ধু আরেকজন শেখ হাসিনা। ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা কঠিন ঐক্য নিয়ে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতাকে রুখে দেবে। এ দেশ পাকিস্তানের বন্ধুদের জন্য নয়, এ দেশ সাম্প্রদায়িকদের জন্য নয়, এ দেশ অর্থ পাচারকারীদের নয়। মুচলেকা দিয়ে পালিয়ে যাওয়া নেতা তারেককে বাংলাদেশের জনগণ নেতা বানাবে না। তিনি বলেন, আজকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা নাকি তাদের ২২ জন নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছি। ফখরুল সাহেব, আপনাদের ২২ জন আর আমাদের ২২ হাজার নেতা-কর্মী হত্যা করেছেন। তিনি আরও বলেন, আপনারা গণতন্ত্রের কথা বলেন, সেই দিন কোথায় ছিল গণতন্ত্র? ২০০১ সালে অস্বাভাবিক সরকার যখন গদিতে বসেই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর অত্যাচার শুরু করেছিল। ফখরুল সাহেব আপনি এখন বলেন, সরকারি দল নাটক সাজিয়েছে। তখন বেগম খালেদা জিয়া বলেছিল, উনাকে কে মারতে যাবে? উনি ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে গিয়েছিলেন। নাটক তো আপনারা করেছিলেন। জজ মিয়ার নাটক। কাঁদতে কাঁদতে আমাদের চোখের পানি শেষ হয়ে গেছে। মতবিনিময় সভায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব) মো. ফারুক খান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সম্পাদকম লীর সদস্য সিদ্দিকুর রহমান, শামসুন নাহার চাপা, সায়েম খান, আবদুল আউয়াল শামীম, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, মোহাম্মদ এ আরাফাত, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর