বুধবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইনের মামলায় সাক্ষ্য শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক

গ্রামীণ টেলিকমে শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। গতকাল ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে শ্রম পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম প্রথম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন। তিনি জবানবন্দিতে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করার অভিযোগগুলো নিয়ে কথা বলেন। এরপর ইউনূসের পক্ষে তাঁকে জেরা করেন তাঁর কৌঁসুলি আবদুল্লাহ আল মামুন।

পরে জেরা শেষ না হওয়ায় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা ৩১ আগস্ট অবশিষ্ট জেরার জন্য তারিখ ঠিক করে সেদিন পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন। বাদী পক্ষে আদালতে আইনজীবী হিসেবে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান। ইউনূস নিজে আদালতে এ দিন হাজির ছিলেন না। তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেন। মামলার অন্য তিন আসামি এ দিন আদালতে ছিলেন। গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে এক যুগ আগে অপসারিত হওয়া ইউনূস ১৯৯৫ সালে গ্রামীণ টেলিকম নামে কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে এর চেয়ারম্যানের পদে রয়েছেন। দেশের বৃহত্তম মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের মালিকানার ৩৪ শতাংশ এ গ্রামীণ টেলিকমের হাতে। ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান মামলাটি করেন। মামলায় ড. ইউনূসসহ চারজনকে আসামি করা হয়। মামলার অন্য তিন আসামি হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান এবং দুই পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান। তাদের বিরুদ্ধে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়। ৬ জুন চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে অভিযোগ গঠন হয়। তা চ্যালেঞ্জ করে মামলাটি বাতিল চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করেন ইউনূস। ২৩ জুলাই শ্রম আদালতে মামলার অভিযোগ গঠনের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাই কোর্ট।

সেই রুল চ্যালেঞ্জ করে আপিল বিভাগে যায় রাষ্ট্রপক্ষ। এরপর ২৫ জুলাই আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত কোনো স্থগিতাদেশ না দিয়ে ৩ আগস্ট পর্যন্ত মামলাটির ওপর স্থিতাবস্থা দেন। একই সঙ্গে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে আবেদনটি শুনানির জন্য পাঠান। এরপর রুল শুনানির জন্য হাই কোর্টে নতুন বেঞ্চ গঠন করে দেন আপিল বিভাগ। সেই বেঞ্চে শুনানির পর ৮ আগস্ট রুল খারিজ করে দেওয়া হয়। এরপর বিচারিক আদালতে বিচার ফের শুরু হয়।

সর্বশেষ খবর