গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত রিটের শুনানিতে হট্টগোল হয়েছে। বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাই কোর্ট বেঞ্চে গতকাল শুনানির একপর্যায়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হট্টগোলে রূপ নেয়। পরে রুলের চূড়ান্ত শুনানির জন্য আজ দিন ধার্য করেন হাই কোর্ট।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম ও অ্যাডভোকেট নাসরিন সিদ্দিকা লিনা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। একপর্যায়ে বিএনপিপন্থি আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল শুনানির সময় পিছিয়ে বুধবার ধার্য করার কথা বলেন। এ সময় কায়সার কামালের উদ্দেশে অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, শুনানি কখন হবে সেটি আপনি বলার কে? এ সময় কোর্টে উপস্থিত বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা হইচই করে ওঠেন। তারা কামরুল ইসলামের উদ্দেশে ‘গম চোর, গম চোর’ বলে হইচই করতে থাকেন। আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবীরা কামরুল ইসলামের বক্তব্যে সমর্থন দেন। বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা বলেন, এটা বঙ্গবন্ধু এভিনিউ নয়। এটা হাই কোর্ট। আদালতে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, কোর্টে তিনি (কামরুল ইসলাম) যে ভাষায় কথা বলছেন, আমাদের তো বাইরে বের হতে ভয় হচ্ছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। পরে আদালতের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয় এবং শুনানির জন্য দুপুর ২টায় সময় নির্ধারণ করেন।

২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে তারেক রহমানের বিদেশে অবস্থান সম্পর্কে জানাতে পররাষ্ট্র সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়। তারেক রহমানের পাসপোর্টের মেয়াদের বিষয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) একটি প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন আদালত।

তারেক রহমানের বক্তব্য প্রকাশ ও প্রচার নিষিদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। এরপর দীর্ঘদিনেও রুলের শুনানি হয়নি। সম্প্রতি সমাবেশে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার করে বিএনপি। এরপরই বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রুল শুনানির আবেদন করেন রিটকারী আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকা।