বিকাশমান অর্থনীতির দেশগুলোর জোট ব্রিকসের সদস্যসংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। নতুন ছয়টি দেশকে এ জোটে যুক্ত হওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে চলমান সম্মেলনে জোটের সদস্যসংখ্যা বাড়ানোর ব্যাপারে সম্মত হন ব্রিকসের নেতারা। গতকাল সম্মেলনের শেষ দিনে নতুন সদস্য নেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। ব্রিকসে যুক্ত হতে আমন্ত্রণ পাওয়া দেশগুলো হলো মিসর, ইথিওপিয়া, ইরান, আর্জেন্টিনা, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরব। এ তালিকায় বাংলাদেশ নেই। জোটের বর্তমান সদস্য হলো ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা বলেছেন, ব্রিকসে যুক্ত হতে যাওয়া দেশগুলোর সদস্যপদ আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। গত মঙ্গলবার জোহানেসবার্গে ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয়। এতে যোগ দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইস ইনাসিও লুলা দা সিলভা, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। এ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তিনি। এ পাঁচ দেশ ছাড়াও জোটে যুক্ত হতে আগ্রহী দেশগুলোর প্রতিনিধিরা জোহানেসবার্গে সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। জোটের সদস্য হতে চলা নতুন দেশগুলোকে স্বাগত জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি দেশগুলোর নেতা ও জনগণকে অভিনন্দন জানান। জোটের লক্ষ্য বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও বিশ্বমঞ্চে সদস্য দেশগুলোর স্বার্থরক্ষা। তবে ব্রিকসকে পশ্চিমা দেশগুলোর আধিপত্যের বিপরীতে বিকল্প এক বিশ্বব্যবস্থা তৈরির উপায় হিসেবে দেখছে চীন। জানা যায়, ৪০টির বেশি দেশ এবার ব্রিকসে যোগ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করে। এর মধ্যে ২২টি দেশ এ জোটে যোগ দেওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিক আবেদন করে, যার মধ্যে বাংলাদেশও ছিল। বাংলাদেশ ব্রিকসের নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে যোগ দিয়েছিল ২০২১ সালেই।
