শুক্রবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

জাতিসংঘ অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জাতিসংঘ বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। গতকাল গুলশান-২-এ বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইসের বাসভবনে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দলে তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও কার্যনির্বাহী সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ এ. আরাফাত।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিরোধী দল যেসব শর্তের কথা বলছে, তা নিয়ে তাদের (জাতিসংঘ) কোনো বক্তব্য নেই। তারা বলেছে, বাংলাদেশ একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক। এটা হলে তাদের ভালো লাগবে। আমরাও বলেছি, আমরা একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। আমাদের বিরোধীদলগুলো খুব বেশি জোর দেয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া কিন্তু এসব নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। তিনি বলেন, আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন চাই। সেখানে বিএনপির মতো বড় দল আসুক, আমরা তা চাই। কারণ নির্বাচন যত প্রতিযোগিতামূলক হবে, দেশে-বিদেশে ততই তা গ্রহণযোগ্য হবে। তবে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য আমরা কারও ওপর জোর করতে পারি না। এটা তাদের ব্যাপার। নির্বাচন তাদের রাজনৈতিক অধিকার। তারা (বিএনপি) বাংলাদেশের একটি বড় দল, রাজনৈতিক দল হিসেবে এটা তাদের অধিকার। সে অধিকার তারা প্রয়োগ করবে, এটাই আমরা আশা করি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশের সঙ্গেও আলাপ করেছি, এটা একটু ভিন্ন। অন্যরা খুব বেশি নির্বাচন রিলেটেড। এখানে তারা (জাতিসংঘ) দেখলাম উন্নয়নের বিষয়টাকে খুব গুরুত্ব দিচ্ছে। এসডিজি, ডেভেলপমেন্ট, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা জানতে চেয়েছে। আমাদের উন্নয়নমূলক কাজগুলোকে তারা প্রশংসার চোখে দেখছে। এতে তারা খুশি। বাংলাদেশ এত এগিয়ে যাচ্ছে এবং সামনে কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন আছে সেগুলো তারা জানে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের উচ্চতা নিয়েও তারা প্রশংসা করেছে। এদিকে গতকাল বেগম আইভি রহমানের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে তাঁর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির সমাবেশে জনগণের সম্মেলন ঘটেনি, অংশগ্রহণ ঘটেনি। এটি নেতা-কর্মীদের আন্দোলন। এ দেশে আন্দোলনের বস্তুগত কোনো পরিস্থিতি বিরাজমান নেই। আন্দোলনের জন্য দুটা বিষয় লাগে। একটা অবজেক্টিভ আরেকটা সাবজেক্টিক। তাদের (বিএনপি) অবজেক্টিভ কন্ডিশনও নেই, সাবজেক্টিভ প্রিপারেশন নেই। তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলনে তাদের নেতারাই হতাশ। ক্ষমতায় আসার মূলা ঝুলিয়ে নেতা-কর্মীদের জড়ো করেছিল। তাদের এসব সমাবেশে জনগণের সম্মেলন ঘটেনি, অংশগ্রহণ ঘটেনি। জনগণ ছাড়া গণ আন্দোলন কেমন করে হবে? আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, একুশে আগস্টের হত্যাকাণ্ড একটি সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। বাংলাদেশে ’৭৫ থেকে শুরু হওয়া হত্যাকাণ্ড, ষড়যন্ত্রের রাজনীতির ধারাবাহিকতা চলে আসছে। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট, ’৭৫-এর ৩ নভেম্বর এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট এক সুতায় গাঁথা। আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আহমদ হোসেন, আফজাল হোসেন, বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। পরে আওয়ামী লীগের সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারা আইভি রহমানের কবরে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করেন।

সর্বশেষ খবর