শনিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

ত্বরিতগতিতে ব্যবস্থা না নেওয়ায় ভোগান্তি বাড়ছে

ড. আকতার মাহমুদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ত্বরিতগতিতে ব্যবস্থা না নেওয়ায় ভোগান্তি বাড়ছে

নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ বলেছেন, অল্প ভাঙা সড়কে ত্বরিতগতিতে ব্যবস্থা না নেওয়ায় বড় গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে ভোগান্তিও বাড়ছে নগরবাসীর। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, বর্ষার পানি জমে থাকলে জলাবদ্ধতার কারণে রাস্তা ভেঙে যায়, খানাখন্দ তৈরি হয়। কিন্তু পানি দ্রুত অপসারণ করা গেলে রাস্তা ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। পানি যেন জমে না থাকে এ জন্য সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি নগরবাসীরও দায়বদ্ধতা রয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের এই অধ্যাপক বলেন, রাস্তার পাশে হোটেল, রেস্তোরাঁ থাকায় নানা আবর্জনা রাস্তায় ফেলে দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে পানি চলাচল বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। সিটি করপোরেশনও যথাসময়ে ময়লা অপসারণ করে না। এই সক্ষমতাও তাদের নেই। ফলে বৃষ্টিতে ময়লা-আবর্জনা ড্রেন, স্যুয়ারেজ লাইনে গিয়ে পানি অপসারণ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এভাবে পানি জমে রাস্তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর রাস্তা ভেঙে খানাখন্দ হলে তা মেরামত করতে অর্থনৈতিক ব্যয় সিটি করপোরেশন তথা সরকারকে বহন করতে হয়। রাস্তাগুলো অল্প ভাঙা থাকতেই ত্বরিতগতিতে সংস্কারের ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে খানাখন্দ বড় হবে না, ভোগান্তিও বাড়বে না। আকতার মাহমুদ বলেন, মহাসড়কের কর্তৃপক্ষ সড়ক ও জনপথ বিভাগ। মহাসড়কের রাস্তাগুলো কিন্তু এই বিভাগের নখদর্পণে। কিন্তু মহাসড়কে তাদের নজরদারি, নিয়ন্ত্রণ খুব দুর্বল। শুধু নজরদারির অভাবে মহাসড়ক ভেঙে যায়, গর্তের সৃষ্টি হয়। এ কারণে সড়ক দুর্ঘটনাও ঘটে অহরহ।

সর্বশেষ খবর