ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট করার লক্ষ্যে যৌথ সমীক্ষা চলছে। এটা হলে, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক-অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও বাড়বে। এ ছাড়াও জাপানের সামরিক প্লাটফরমে বাংলাদেশ যুক্ত রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। গতকাল ঢাকার জাপান দূতাবাসে ‘বাংলাদেশ-জাপান কৌশলগত সম্পর্ক বাস্তবায়ন : কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক’ শীর্ষক আলোচনা তিনি এ তথ্য জানান। ‘প্যান এশিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটে’র (পারি) আয়োজিত এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। সভায় জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দীন আহমদের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। আরো বক্তব্য রাখেন প্যান পারি’র প্রেসিডেন্ট ইউওজি আন্দো, পারি’র নির্বাহী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ২০১৪ সালে জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের ঢাকা সফর ও ২০২৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে বিশেষ গতি এনেছে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বেড়েছে। এই প্রথমবারের মতো দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য চার বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। জাপানের রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি আরও বলেন, জাপানের অফিশিয়াল সিকিউরিটি অ্যাসিস্ট্যান্স কাঠামোর প্রথম চারটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ নির্বাচিত হয়েছে। যার মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট অন্য সংস্থাগুলোকে প্রয়োজনীয় উপকরণ ও সরঞ্জাম প্রদানের পাশাপাশি দেশগুলোর নিরাপত্তার প্রয়োজনের ভিত্তিতে অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়তা করে দেশটি। তিনি জানান, ২০২২ সালে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর সুবিধার জন্য ‘অফিশিয়াল সিকিউরিটি অ্যাসিসটেন্স’ নামে এই নতুন সহযোগিতা কাঠামো তৈরি করে জাপান। জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দীন আহমদ বলেন, জাপান বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু।

বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানের দ্বিপক্ষীয় ছাড়াও দেশটির সঙ্গে বহুপক্ষীয় সম্পর্ক রয়েছে। এ ছাড়া আমাদের কৌশলগত সম্পর্কও শক্তিশালী হচ্ছে।