রবিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

চার ওয়ার্ডকে লাল চিহ্নিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) চারটি ওয়ার্ডে ১০ জনের বেশি ডেঙ্গু রোগী পাওয়ায় লাল চিহ্নিত করেছে সংস্থাটি। লাল চিহ্নিত চারটি ওয়ার্ড হলো- ৫, ২২, ৫৩, ৬০। লাল চিহ্নিত করে চলছে ডেঙ্গুবিরোধী বিশেষ অভিযান। এতে অংশ নেন ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। আগামীতে যেন রোগী আরও না বাড়ে তাই এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

গতকাল বাসাবো কালীমন্দির সংলগ্ন রাজারবাগ শ্মশানঘাট এলাকা পরিদর্শন শেষে ডিএসসিসি মেয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব তথ্য জানান। এর আগে তিনি হাজারীবাগ এলাকা পরিদর্শন করেন। পরে মেয়র বাসাবোর সবুজবাগ থেকে কদমতলী এলাকায় যান। মেয়র বিভিন্ন এলাকার কয়েকটি বাড়িতে যান। তবে তার উপস্থিতিতে কোথাও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়নি।

মেয়র বলেন, গত এক সপ্তাহে যেসব ওয়ার্ডে ১০ জনের বেশি রোগী পাওয়া গেছে সেগুলোকে লাল চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মানে হলো বিপজ্জনক। এসব ওয়ার্ডে রোগী আরও বাড়তে পারে। তাই এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অভিযানে এলাকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির, সামাজিক প্রতিষ্ঠান, রেড ক্রিসেন্ট, বয়েজ স্কাউটসহ ও সব বাড়ি ও সংগঠনকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। আশা করছি এ অভিযানের মাধ্যমে আমরা এসব এলাকা থেকে এডিস নির্মূল করতে পারব। এলাকাবাসীকে নিজ নিজ বাসা ও স্থাপনায় যেন পানি না জমে, সে কাজে এগিয়ে আসতে হবে।

আরও আগে কেন এমন অভিযান পরিচালনা করা হয়নি এমন এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র তাপস বলেন, আগে-পরে বিষয় নয়। নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে আমরা প্রতিদিনের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করি। এর মাধ্যমে আমরা রোগীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। ফলে আমাদের রোগীর সংখ্যা ৭০-এর নিচে চলে এসেছে। তবে এটি নিয়ে কোনো সন্তুষ্টিতে ভুগতে চাই না। আমরা জানি এখন ডেঙ্গুর ভরা মৌসুম। বর্ষা এখনো শেষ হয়নি। বৃষ্টি হচ্ছে নিয়মিত, তাই পানি জমে যাবে। ভাদ্র মাসের এই ভরা মৌসুমে আমরা আমাদের মাঠপর্যায়ের কার্যক্রম বেগবান করছি। আমরা সিঙ্গাপুরের মডেল অনুসরণ করে মাঠপর্যায়ে মশার আধার নির্মূলে কাজ করছি।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে বিটিআই জালিয়াতিতে কালো তালিকাভুক্ত মার্শাল অ্যাগ্রোভেট ডিএসসিসিতে মশার ওষুধ সরবরাহ করে, তাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে কি না এমন এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ডিএসসিসিতে মার্শালের কোনো চুক্তির ব্যত্যয় হয়নি। ব্যত্যয় লক্ষ্য করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ২০১৯ সালের পর থেকে সরকার নির্ধারিত প্রতিষ্ঠান থেকে সরাসরি আমদানি করি। সব দফতরের অনুমতি আছে। এ সময় করপোরেশনরে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর