বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পঞ্চম প্রতিরক্ষা সংলাপ শুরু হয়েছে। গতকাল ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের তত্ত্বাবধানে শুরু হওয়া সংলাপে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লে. জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। ভারতীয় দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ভারতের প্রতিরক্ষা সচিব শ্রী গিরিধর আরমান। আইএসপিআর জানায়, এই সংলাপে মূলত উভয় দেশের মধ্যে পারস্পরিক সামরিক সহযোগিতা, দ্বিপক্ষীয় সামরিক বিষয়গুলো, সামরিক শিল্প, দুর্যোগ মোকাবিলা ও মুক্তিযুদ্ধ-সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে।

এর আগে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে ভারতের প্রতিনিধি দলের প্রধান সাক্ষাৎ করেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা বর্তমানে অত্যন্ত নিবিড়। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকে প্রতিরক্ষা উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণে সহযোগিতা প্রদানের জন্য ভারতের ক্রমাগত সহায়তার বিষয়টি সুস্পষ্ট। প্রতিবছর বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর অনেক সদস্য ভারতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ নেন। একইভাবে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাও বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনী বিভিন্ন পর্যায়ে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে একসঙ্গে কাজ করে আসছে। এ ছাড়াও উচ্চপর্যায়ের সামরিক সফর বিনিময় দুই দেশের মধ্যকার সামরিক সহযোগিতার একটি অন্যন্য বৈশিষ্ট্য। বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ভিত্তি সুদৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আছে, যা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে তৈরি হয়েছিল। উভয় দেশের এই সম্পর্ক বহুমাত্রিক, বহুমুখী এবং সর্বদা বিকাশমান। এ ছাড়াও রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিকসহ সব ক্ষেত্রে এ দুই দেশের সম্পর্ক অত্যন্ত দৃঢ়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতের সঙ্গে সামরিক ও নিরাপত্তা বিষয়ক সম্পর্কের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। এই অগ্রগতি পারস্পরিক সহযোগিতা ও বন্ধুত্বকে একটি অনন্য উচ্চতায় নিয়ে  গেছে। এ পর্যন্ত উভয় দেশের মধ্যে মোট চারটি বার্ষিক নিরাপত্তা সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বছর চতুর্থ সংলাপ ভারতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।