বুধবার, ৩০ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানোর তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক

মূল্যস্ফীতি কমানো ও প্রকল্পে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানোর তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এ তথ্য জানান। গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিকে রাজধানীর ৩০০ ফিট সড়কের সঙ্গে সংযোগ করে দুটি নতুন সড়ক নির্মাণসহ নতুন পুরাতন মিলে মোট ২০ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান। একনেক সভায় ২০টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৩টি নতুন ও সাতটি প্রকল্প সংশোধন করা হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ১৪ হাজার ৭৭ কোটি টাকা।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমলাতন্ত্র নিয়ে প্রধানমন্ত্রী খুশি। সবাই ভালো কাজ করছেন। পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি কমানো ও প্রকল্পে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানোর তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে এম এ মান্নান বলেন, চলমান সব প্রকল্প উচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে শেষ করতে নির্দেশনা দিয়েছেন। এ ছাড়া যেখান থেকে কম সুদে ঋণ পাওয়া যাবে আমরা সেখান থেকে নেব।

বিভিন্ন প্রকল্পে গাছ লাগানোসহ দেশের হাসপাতালগুলোতে লোকবল সংকট নিয়েও প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। লোকবল সংকট দূর করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছেন তিনি। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, সর্বজনীন পেনশনের ব্যবস্থা করায় প্রধানমন্ত্রীকে একনেকের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। কেননা এটা একটি জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র হওয়ায় এ ধরনের কাজ সাহসী পদক্ষেপ। সেইসঙ্গে ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানো হয়। কেননা আমরা ব্রিকসে যোগ দিতে চাই। সে পথ সুগম হয়েছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ নিউ ডেভেলপমেন্টের শেয়ার কিনে সদস্য পদ লাভ করেছে। এতে ব্রিকসে যুক্ত হওয়া সহজ হবে। তিনি বলেন, দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি অনেক টেকসই। কেননা এক লাফে উন্নতিও হয় না, আবার এক লাফে নেমেও যায় না। এটাই আমাদের অন্তর্নিহিত শক্তি। একনেক অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো- স্মল হোল্ডার এগ্রিকালচারাল কম্পিটিটিভনেস প্রজেক্ট (এসএসিপি)। এ ছাড়া গোপালগঞ্জ জেলার গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন (দ্বিতীয় পর্যায়)। ক্লাইমেট অ্যান্ড ডিজাস্টার রেজিলিয়েন্স স্মল স্কেল ওয়াটার রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প। মেঘনা নদীর ভাঙন থেকে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার নলের চরে নির্মিত অবকাঠামোগুলো রক্ষার্থে প্রতিরক্ষামূলক কাজ। ঢাকার কেরানীগঞ্জে শুভাড্যাখাল পুনঃখনন এবং খালের উভয় পাড়ের উন্নয়ন ও সুরক্ষা (প্রথম পর্যায়)। চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলায় মহানন্দা নদী ড্রেজিং ও রাবার ড্যাম নির্মাণ। বাগেরহাট কালেক্টরেটের নতুন ভবন নির্মাণ। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী শিশুপার্ক আধুনিকীকরণ। পূর্বাচল ৩০০ ফুট সড়ক থেকে মাদানী এভিনিউ পর্যন্ত সংযোগকারী দুটি সড়ক উন্নয়ন। সিলেট সড়ক বিভাগাধীন সিলেট (তেলিখাল)-সুলতানপুর-বালাগঞ্জ সড়কে বড় ভাঙ্গা সেতু নির্মাণ। মুন্সীগঞ্জ সড়ক বিভাগের আওতায় রামেরকান্দা-লাকিরচর সংযোগ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প। আরও আছে ‘এস্টাবলিস্টমেন্ট অব ফাইভ হান্ড্রেড বেডেড হসপিটাল ও এনসিলারি ভবন ইন যশোর, কক্সবাজার, পাবনা আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডায়াগনস্টিক ইমেজিং ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ। শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন (কম্পোনেন্ট-২) : দেশের আটটি বিভাগীয় শহরের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডায়াগনস্টিক ইমেজিং ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো ও একাডেমিক কার্যক্রম সম্প্রসারণ এবং লিভিং নো অব বিহাইন্ড : ইমপ্রুভিং স্কিল অ্যান্ড ইকোনমিক অপারচুনেটি ফর দ্য ইউমেন অ্যান্ড ইয়ুথ ইন কক্সবাজার প্রজেক্ট।

 

সর্বশেষ খবর