বুধবার, ৩০ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

এজলাসে হট্টগোল, দুই বিচারপতি জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতিকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাম্প্রতিক সময়ে দেওয়া সব বক্তব্য অনলাইন থেকে সরানোর আদেশ দেওয়াকে কেন্দ্র করে এজলাসে হট্টগোল ও কার্যতালিকা ছুড়ে মারার ঘটনা প্রধান বিচারপতিকে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের দুই বিচারপতি। গতকাল সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এর আগে সোমবার সকালে তারেক রহমানের বক্তব্য ইউটিউব, ফেসবুকসহ সব ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফরম থেকে অবিলম্বে ব্লক, অপসারণ বা সরিয়ে ফেলার কার্যক্রম গ্রহণে বিটিআরসিকে নির্দেশ দেন হাই কোর্ট। বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ আদেশকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা তর্কে জড়িয়ে পড়লে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে দুই বিচারক এজলাস ছেড়ে চলে যান। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পর দুই বিচারপতি এজলাসে ফেরেন। এদিকে হাই কোর্টের আদেশে অনলাইন থেকে তারেক রহমানের বক্তব্য অপসারণের কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। গতকাল বিটিআরসির আইনজীবী খোন্দকার রেজা ই রাকিব বিষয়টি আদালতকে জানিয়েছেন। ব্যারিস্টার খোন্দকার রেজা ই রাকিব বলেন, হাই কোর্ট সোমবার তারেক রহমানের বক্তব্য অনলাইন থেকে রিমুভ করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা ল’ইয়ার সার্টিফিকেট পেয়েছি। বিটিআরসির একটি টিম তারেক রহমানের বক্তব্য অনলাইন থেকে অপসারণের কাজ শুরু করেছে। আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যে তারেকের সব বক্তব্য অনলাইন থেকে অপসারণ সম্ভব হবে। আমরা হাই কোর্টের আদেশের সার্টিফায়েড কপির জন্য অপেক্ষা করছি। এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি তারেক রহমানের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন হাই কোর্ট। একই সঙ্গে রুল জারি করেন। রুলে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রকাশ ও প্রচার নিষিদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। ওই রুল শুনানির জন্য আট বছর পর হাই কোর্টে আবেদন জানায় রিটকারী পক্ষ। সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে তারেক রহমানের দেওয়া বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমসহ অনলাইন প্ল্যাটফরম থেকে অপসারণের নির্দেশও চান তারা। কিন্তু তারেক রহমানের ঠিকানা ভুল থাকায় নোটিস সঠিকভাবে জারি হয়নি। এ কারণে ঠিকানা সংশোধন করে ফের আবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন হাই কোর্ট। ওই নির্দেশনা মোতাবেক তারেক রহমানের ঠিকানা সংশোধন করে নোটিস জারির নির্দেশ দেন আদালত। এর পরই গত সপ্তাহে নোটিস জারি করা হয়। এই রুলের শুনানি নিয়েই সোমবার আদেশ দেন হাই কোর্ট।

সর্বশেষ খবর