বৃহস্পতিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা
সাংবাদিকদের বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ২ ঘণ্টা ছিলাম, সিন্ডিকেট নিয়ে কথা হয়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, গতকাল (মঙ্গলবার) প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের পর তাঁর সঙ্গে দুই ঘণ্টা ছিলাম, আমেরিকান চেম্বার্সের প্রতিনিধিরাও ছিলেন। কিন্তু সিন্ডিকেট বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কোনো কথা হয়নি, উনিও জিজ্ঞেস করেননি। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে আমেরিকান চেম্বার্সের সঙ্গে বৈঠক করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বৈঠক শেষে মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি এ কথা বলেন। ওইদিন সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, বাজার সিন্ডিকেট ভাঙা যাবে না, এটা কোনো কথা না। সিন্ডিকেট ভাঙা যাবে না-এমন কিছু বাণিজ্যমন্ত্রী বললে তাঁকেও আমি ধরব।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী কী বলেছেন,? কী মিন? (বোঝাতে) করেছেন, সেটা তিনি ভালো জানেন। এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে পারব না। বাজারে সিন্ডিকেট আছে, ভাঙা হবে বা হবে না-এ ধরনের কোনো কথা আমি কোথাও বলিনি। তিনি বলেন, ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ার পর আমি বলেছিলাম, প্রয়োজনে সরবরাহ ঠিক রাখতে ডিম আমদানি করা হবে। সে ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি সব সময়।

তাহলে কি সিন্ডিকেট বলতে কোনো কিছু নেই বাজারে- এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সিন্ডিকেটের একটি বিশাল অর্থ, বিশাল ব্যাপার। আজকে দেখেন সিন্ডিকেটের অল্প কিছু, গ্রামে গ্রামে লাখ লাখ ডিম উৎপাদন হয়। সেখানে সিন্ডিকেটের কথা বলব কেমন করে। একজন দুজন তো ডিমের ব্যবসা করছেন না। এই যে বিশাল জায়গায় দাম বাড়াচ্ছেন তারা। সেটা তো বুঝতে পারি। সব জায়গায় তো সিন্ডিকেটের কথা বলতে পারি না। কিন্তু সুযোগ যে তারা নেন না, তা বলি না। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে সব বিষয়ে তুলনা করা সম্ভব নয়। ভারতে চিনির দাম কম। কারণ তাদের উৎপাদন যেটা হয়, চাহিদা মেটানোর পরও রপ্তানি করে। আর আমাদের ৯৯ দশমিক ৯ শতাংশ বাইরে থেকে আনতে হয়। সব জিনিস এক রকম হবে তা কিন্তু নয়। কখনো কখনো কোনো কোনো জিনিস এক রকম হয়। পিঁয়াজের দাম বেড়ে গেল, তখন ভারতে রেশনিং চালু করেছিল। যখন কাঁচা মরিচের দাম বাড়ল তখন কলকাতাতেও ৩৫০ টাকার বেশিতে বিক্রি হয়েছে। এ মুহূর্তে দেখেন পিঁয়াজের ওপর ট্যাক্স বাড়িয়ে দিয়েছে। তারা তাদের অর্থনীতির ওপর নির্ভর করে কাজ করে। আমরা বিকল্প সোর্স থেকে আনার চেষ্টা করি। সবকিছু এক রকম নয়।

শ্রীলঙ্কার মূল্যস্ফীতি অনেকটা কমেছে, সে তুলনায় আমরা পিছিয়ে আছি- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, শ্রীলঙ্কা আর আমাদের অবস্থাটা ভিন্ন। শ্রীলঙ্কার বড় যে আয় সেটা হলো পর্যটন খাত। সেটা তারা রিভাইভ করেছে বলে তারা উন্নতি করছে। পাশাপাশি ছোট দেশ সেজন্য তারা উতরে গেছে। আমাদের বিশাল বড় একটা দেশ।

সর্বশেষ খবর