রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
এম জে আকবর

অস্থিতিশীলতার চেয়ে কোনো কিছু বেশি সংক্রামক নয়

বিশেষ প্রতিনিধি

অস্থিতিশীলতার চেয়ে কোনো কিছু বেশি সংক্রামক নয়

ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর বলেছেন, পরাশক্তিগুলোর মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখে চলার দিন ফুরিয়ে এসেছে। ভারসাম্যের মধ্যে শক্তি খোঁজার চেয়ে স্থিতিশীলতার শক্তি কাজে লাগানো দরকার। কারণ অস্থিতিশীলতার চেয়ে কোনো কিছু বেশি সংক্রামক নয়।

গতকাল ঢাকায় ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চল সম্পর্কে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গির (ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক-আইপিও) ওপর ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক আন্তর্জাতিক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) এবং বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর রিজিওনাল স্টাডিজ (বিএফআরএস) যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।

এম জে আকবর বলেন, সমুদ্রসম্পদের কথা বিবেচনায় রেখে ‘সুনীল অর্থনীতির’ কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু সাগর-মহাসাগরে স্থিতিশীলতা না থাকলে আপনাদের সুনীল অর্থনীতি প্রতিষ্ঠিত হবে না।

সেমিনারের মূল প্রতিবেদনে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, কাউকে বাদ দিয়ে চলা বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব নয়। বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা নিয়ে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলাপ করে থাকে। এর অর্থ এই নয় যে, বাংলাদেশ কোনো সামরিক জোটে যোগ দিতে যাচ্ছে।

ঢাকায় ভারতের সাবেক হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ বলেন, নিরাপত্তাসহ বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখে দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক দ্রুত বদলে যাচ্ছে। পরিবর্তনের এই প্রক্রিয়ায় ভারত বাংলাদেশকে অংশীদার হিসেবে চায়। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে নিজের পরিচয় ও ভূমিকা স্পষ্ট করতে হবে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, আইপিও-তে বহুপাক্ষিকতা এবং মানুষের চলাচল ও পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে সবার জন্য নিরাপদ সমুদ্রপথ নীতি মেনে চলার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। সামরিক উদ্দেশ্য নিয়ে ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় কোনো দেশেরই কিছু করা উচিত নয়।

‘প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য অন্তর্ভুক্তি’ শীর্ষক অধিবেশনে ওয়াশিংটনভিত্তিক উইলন সেন্টারের সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশকে ভারত-চীন, যুক্তরাষ্ট্র-চীন ও যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া, এই তিন ধরনের ভারসাম্য সামাল দিতে হচ্ছে। ভারসাম্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে আগামীতে বড় ধরনের পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে। সমাপনী অধিবেশনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, গঠনমূলক নীতির ভিত্তিতে বাংলাদেশ ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগর তীরবর্তী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়াতে প্রস্তুত রয়েছে।

সর্বশেষ খবর