সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ময়লার গাড়ি ভাঙচুর মামলায় বিচার শুরু ফখরুল রিজভীর

আমানের স্ত্রী দুর্নীতি মামলায় কারাগারে

আদালত প্রতিবেদক

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। একই সঙ্গে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে। গতকাল ঢাকার অতিরিক্ত           মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন এ আদেশ দেন। ফলে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয় বলে সাংবাদিকদের জানান ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আবু। এদিকে গতকাল একটি দুর্নীতি মামলায় আত্মসমর্পণ করলে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের স্ত্রী সাবেরা আমানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এর আগে গত ৭ আগস্ট হাই কোর্ট দুর্নীতির মামলায় আমান উল্লাহ আমানের ১৩ বছরের কারাদন্ড ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের ৩ বছরের দন্ডের রায় বহাল রেখে রায় প্রকাশ করেন। বিচারিক আদালতে রায় পৌঁছানোর ১৫ দিনের মধ্যে তাদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছিল। ময়লার গাড়ি ভাঙচুর মামলার অন্য আসামিরা হলেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাইফুল আলম নিরব, মোয়াজ্জেম হোসেন বাবু, আজিজুল বারী হেলাল, কাজী রেজাউল হক বাবু, খন্দকার এনামুল হক এনাম ্ও জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম মাসুদ। ভাঙচুর মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর মিন্টু রোডে মির্জা ফখরুল ইসলাম ও রিজভীর নেতৃত্বে ২০০ থেকে ২৫০ নেতাকর্মী লাঠিসোটা নিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন। এ সময় তারা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ি ভাঙচুর করেন ও বিস্ফোরণ ঘটান। মামলা দায়েরের পাঁচ বছরের মাথায় ২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।

আমানের স্ত্রী কারাগারে : সাবেরা আমানের আইনজীবী নজরুল ইসলাম জানান, দুর্নীতির মামলায় ৩ বছরের দন্ডপ্রাপ্ত সাবেরা গতকাল ঢাকার প্রথম বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তিনি জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও সাবেরাকে তিন বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাই কোর্টে আপিল করেন। ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট সেই আপিল মঞ্জুর করে তাদের খালাস দেন। হাই কোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২৬ মে আপিল বিভাগ ওই রায় বাতিল করে হাই কোর্টকে মামলাটির আপিল পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন।

সর্বশেষ খবর