মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

অ্যাপেই মিলবে বিদেশে চাকরি

দালালের প্রয়োজন হবে না, স্মার্ট হবে অভিবাসন প্রক্রিয়া

জুলকার নাইন

অ্যাপেই মিলবে বিদেশে চাকরি

বিদেশে বাংলাদেশের জনশক্তি বাজারের চাকরির তথ্য পাওয়া যাবে মোবাইল অ্যাপে। দেশ-বিদেশের যে কোনো প্রান্তে সহজে বসে পছন্দ ও যোগ্যতা অনুসারে বাছাই করা যাবে চাকরি। অ্যাপেই করা যাবে সরাসরি আবেদন। এমন সুযোগ এনে দিয়েছে ‘আমার প্রবাসী’ অ্যাপ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ ধরনের অ্যাপের ব্যবহার বাড়ানো গেলে বিদেশে কর্মসংস্থানে প্রয়োজন হবে না দালালের। কমবে অভিবাসন ব্যয় ও ভোগান্তি। সম্ভব হবে স্মার্ট অভিবাসন প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন।

প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, জনশক্তি রপ্তানি প্রক্রিয়ায় দালাল-নির্ভরতা কমানোর জন্য নানান চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে তা সম্ভব হয়নি। অ্যাপ ও অনলাইনভিত্তিক আবেদন ও প্রক্রিয়ার সুযোগ পাল্টে দিতে পারে পুরো শ্রমবাজার-সংশ্লিষ্ট বর্তমান চিত্র। ‘আমার প্রবাসী’ অ্যাপ সংশ্লিষ্টরা জানান, বিদেশে গমনের সব তথ্য ও সুবিধা এক ছাদের নিচে নিয়ে আসাই এ অ্যাপের লক্ষ্য। এর মাধ্যমে বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মী, দেশের আড়াই হাজারের বেশি রিক্রুটিং এজেন্সি ও বিদেশি নিয়োগদাতারা ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ পাবেন এ অ্যাপের মাধ্যমে। শুধু মোবাইল অ্যাপ নয়, আমার প্রবাসী ডটকম ওয়েবসাইট থেকেও পাওয়া যাবে এসব সুযোগ। গতকাল অনলাইন আমার প্রবাসী অ্যাপ ও ওয়েসাইট ঘুরে দেখা যায়, ইতোমধ্যেই ১৪টি দেশের ৩৪ ধরনের ২৮১টি চাকরির বিজ্ঞাপন সেখানে রয়েছে। বিজ্ঞাপন রয়েছে মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, বুলগেরিয়া, চেক রিপাবলিক, কোরিয়া, হাঙ্গেরির মতো দেশের। শুধু জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর অনুমোদিত চাকরির বিজ্ঞাপনগুলোই এ অ্যাপে দেখা যাচ্ছে। প্রতিটি চাকরির ক্ষেত্রে আবেদনের সুযোগ রয়েছে। অনলাইনে কেউ এসব আবেদন সম্পন্ন করলে তা সরাসরি চলে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সির কাছে। পরে সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সি আবেদনকারীর সঙ্গে সরাসরি যোগযোগ করে পরবর্তী কার্যক্রম এগিয়ে নিতে পারবে। অ্যাপে চাকরির আবেদনের পাশাপাশি রয়েছে ভিসা চেকের সুবিধা। ফলে কমে যাবে নকল ভিসার মাধ্যমে প্রতারিত হওয়ার শঙ্কা। এ ছাড়া পাসপোর্ট ও ট্রেনিং সেন্টারের তথ্য, নিকটবর্তী দূতাতাসের ঠিকানাসহ প্রয়োজনীয় তথ্যসেবা পাওয়া যাচ্ছে এ অ্যাপে। সংশ্লিষ্টরা জানান, মন্ত্রণালয় ও বিএমইটি যখন যে ধরনের চাকরির অনুমোদন দেবে সেটাই পাওয়া যাবে এ অ্যাপে। পাশাপাশি অন্যান্য তথ্যও আপডেট হবে প্রতিনিয়ত। উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে বিভিন্ন দেশে জনশক্তি রপ্তানির বাজার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে গবেষণা করা তবিরুল আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, মোবাইল অ্যাপ এবং ওয়েবসাইটে এ ধরনের ওয়ানস্টপ সেবা জনপ্রিয় করা গেলে প্রয়োজন হবে না দালালের। এতে অভিবাসন ব্যয় কমিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব হবে অনেকাংশে। পাশাপাশি অভিবাসন প্রক্রিয়ায় যে দীর্ঘ সময় ও ভোগান্তি হয়, তা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। সবচেয়ে বড় যে সুবিধা পাওয়া যাবে তা হলো- সরকারি মনিটরিংয়ের সুযোগ তৈরি হবে। শ্রমবাজারের অনিয়ম দূর করা সম্ভব হবে সহজে।

সর্বশেষ খবর