মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

অনিশ্চয়তায়ও বেড়েছে রপ্তানি

রুকনুজ্জামান অঞ্জন

জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক অস্থিরতা আছে; ইউক্রেন যুদ্ধ, ডলার সংকট রিজার্ভ হ্রাসের কারণে অর্থনীতিতেও বিরাজ করছে অনিশ্চয়তা। এ অস্থিরতা-অনিশ্চয়তার মধ্যেও রপ্তানি আয় বাড়ছে। সর্বশেষ গত আগস্টে দেশের পণ্য রপ্তানি আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৭৮২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এটি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৪ শতাংশ বেশি। আর চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট প্রান্তিকে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ৯ শতাংশ ছাড়িয়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে। ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান ও সিইও এএইচএম আহসান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, পরিবর্তিত বৈশ্বিক ব্যবস্থায় অভ্যন্তরীণ ও বহিঃখাতে নানা ধরনের অনিশ্চয়তা থাকলেও আগস্ট মাসে পণ্য রপ্তানি খাতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি বজায় রয়েছে। এর আগে জুলাই মাসেও প্রায় ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। এটি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানোর পাশাপাশি ডলার সংকট ঘোচাতেও সহায়তা করবে। ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পণ্য খাতে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬২ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৩৭৫ মিলিয়ন ডলার। এটি গত অর্থবছরের একই সময়ের রপ্তানি আয় ৮ হাজার ৫৯২ মিলিয়ন ডলারের তুলনায় ৯ দশমিক ১ শতাংশ বেশি। আলোচ্য সময়ে বরাবরের মতো সবচেয়ে বেশি রপ্তানি আয় এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে। এর মধ্যে নিট পোশাকে প্রায় ১৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধিতে ৪ হাজার ৫৮২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ওভেন পোশাকে ৬ দমমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধিতে ৩ হাজার ৪১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় অর্জিত হয়েছে। এ দুই মাসে রপ্তানি আয়ে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ফলমূলে। গত বছরের তুলনায় অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে প্রায় ২ হাজার ৯৫০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে এ পণ্যে। এ ছাড়া শাকসবজিতে ৪১৬ শতাংশ, জীবন্ত মাছে ৪১২ শতাংশ, কাগজ ও কাগজপণ্যে ৮৫ শতাংশ, ইলেকট্রিক পণ্যে ৮০ শতাংশ, পেট্রোলিয়াম বাই প্রোডাক্টে ৭৯ দশমিক ৫ শতাংশ, সিমেন্টে ৭৯ শতাংশ এবং চা রপ্তানিতে প্রায় ৭১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। অপরদিকে গত বছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে সিরামিক পণ্য (-৯ শতাংশ), ফার্নিচার (-৩০ শতাংশ), কার্পেট (-২০ শতাংশ), বাইসাইকেল (-৪২ শতাংশ), চামড়া (-১৩ শতাংশ), চামড়ার জুতা (-২৩ শতাংশ), টেরি টাওয়েল (-৫৪ শতাংশ), হোম টেক্সটাইল (-৫৩ শতাংশ), চিংড়ি মাছ (-৩৪ শতাংশ) এবং ক্যাপ (-১৩ শতাংশ) রপ্তানি হ্রাস পেয়েছে।

সর্বশেষ খবর