বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

সেতুর নকশা ভুল হওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী

একনেকে ১৭ প্রকল্প অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

সেতুর নকশা ভুল হওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী

সেতু নির্মাণে ভুল নকশা প্রণয়নে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় নড়াইল-কালিয়া মহাসড়কে নবগঙ্গা নদীর ওপর কালিয়া সেতু নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদনের সময় তিনি এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভায় ১৭টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন। অনুমোদিত ১৭টি প্রকল্পে মোট ব্যয় হবে ১২ হাজার ৯৫১ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১০ হাজার ২৬৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা। বৈদেশিক অর্থায়ন ২ হাজার ৬৭০ কোটি ১৫ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, নড়াইলে সেতু নির্মাণে ভুল নকশার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ভবিষ্যতে যে কোনো প্রকল্পের নকশা নির্ভুলভাবে তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া জমি অধিগ্রহণের সময় জমির ছবি তুলে রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেছেন, ছবি তুলে না রাখলে কেউ ভূমি অধিগ্রহণের খবরে বেশি টাকা পাওয়ার আশায় সেখানে স্থাপনা বানাতে পারে। মন্ত্রী বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করায় একনেকের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানানো হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে শেষ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে, নড়াইল-কালিয়া জেলা মহাসড়কের নবগঙ্গা নদীর ওপর কালিয়া সেতু নির্মাণ; বিআরটিসির জন্য সিএনজি একতলা এসি বাস সংগ্রহ; উত্তরা এলাকায় পয়ঃশোধনাগার নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ প্রকল্প (প্রথম সংশোধিত); ধীরাশ্রম আইসিডি নির্মাণের লক্ষ্যে জমি অধিগ্রহণসহ পুবাইল-ধীরাশ্রম রেল লিংক নির্মাণ। গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে আসা দর্শনার্থীদের সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণ। সোনাগাজী ৫০ মেগাওয়াট (সংশোধিত ৭৫ মেগাওয়াট) সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প (প্রথম সংশোধিত)। চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (সিএমইউ) স্থাপন। চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজ স্থাপন। বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসের আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ (প্রথম সংশোধিত)। এ ছাড়া সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর উন্নয়ন প্রকল্প (প্রস্তাবিত প্রথম সংশোধন)। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায় ভূ-উপরিস্থ পানির মাধ্যমে সেচ উন্নয়ন। বাংলাদেশের চর এলাকায় আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ। গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া উপজেলার জলাবদ্ধতা নিরসনে সমন্বিত পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন। বহুমুখী দুর্যোগ আশ্রয় কেন্দ্র প্রকল্প (এমডিএসপি) (তৃতীয় সংশোধিত)। কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলাধীন গড়াই নদীর ওপর সেতু নির্মাণ প্রকল্প। গুচ্ছগ্রাম-দ্বিতীয় পর্যায় (ক্লাইমেট ভিকটিমস রিহ্যাবিলিটেশন প্রজেক্ট) (চতুর্থ সংশোধিত) এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন-সংক্রান্ত পার্বত্য চট্টগ্রামের সেক্টর প্রজেক্ট অনুমোদন দেওয়া হয়।

সর্বশেষ খবর