বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

কার্ব মার্কেটে ডলার কারসাজিতে জিরো টলারেন্স

নিজস্ব প্রতিবেদক

কার্ব মার্কেটে (খোলাবাজার) অতিরিক্ত দামে ডলার বিক্রির সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে। মাত্রাতিরিক্ত দামে ডলার বিক্রি করায় ইতোমধ্যে চারজনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। একই সঙ্গে সাতটি মানিচেঞ্জার প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থগিত এবং আরও ১০টি প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যাখ্যা তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কার্ব মার্কেটে অস্থিরতা রোধে ডলার কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক সাংবাদিকদের বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠান কার্ব মার্কটে অস্থিরতা তৈরি করতে অতিরিক্ত দামে ডলার বিক্রি করবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। জানা গেছে, ডলারের দাম মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় সম্প্রতি জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ও বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার ও চারজনকে আটক করেছে। জানা গেছে, দৈনিক বাংলা মোড়ে আরএস ভবনের দ্বিতীয় তলায় নিহন মানি এক্সচেঞ্জে অভিযান চালিয়ে ১ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার, ৩০ হাজার কানাডিয়ান ডলারসহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রা ও টাকা পেয়েছে এনএসআই ও বিএফআইইউ। এ সময় হুন্ডির ক্যারিয়ার মিরাজুল ইসলামকে নগদ ৩৮ লাখ ১৮ হাজার টাকাসহ আটক করা হয়। এ টাকা মানি এক্সচেঞ্জের মালিক শহীদের কাছে জমা দিতে এসেছিলেন মিরাজ। হুন্ডির কারবার করতেন শহীদ। এদের মূল হোতা মালয়েশিয়ার গোপাল। সূত্র আরও জানায়, মন্টু নামে এক ব্যক্তি মতিঝিল ও পল্টন এলাকার সব মানি এক্সচেঞ্জে বিদেশি মুদ্রা সরবরাহ করার একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। নিহন মানি এক্সচেঞ্জে অর্থ দিতে এসে ডলারসহ আটক হন মন্টুর চক্রের সদস্য ওমর ফারুক। মন্টুর বাসা থেকে প্রতিদিন মানি এক্সচেঞ্জগুলোতে বিদেশি মুদ্রা সরবরাহ করা হয়। একই দিন গুলশান-১-এর নাভানা টাওয়ারে সাব মানি এক্সচেঞ্জ ও লর্ডস মানি এক্সচেঞ্জ এবং গুলশান-২-এর ল্যান্ডমার্ক টাওয়ারে মেট্রো মানি এক্সচেঞ্জে অভিযান চালায় এনএসআই ও বিএফআইইউ। নাভানা টাওয়ারের পেছনে শিহাব, মিরাজ, লিটন, তুষার, জিল্লুর, মিন্টু ও রাজীব ব্যাগে করে বিদেশি মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয় করেন বলে খোঁজ পেয়েছেন তারা। লর্ডস মানি এক্সচেঞ্জে নিয়মবহির্ভূতভাবে বেশি দামে ডলার কেনাবেচার প্রমাণ পায় এনএসআই ও বিএফআইইউ। মেট্রো মানি এক্সচেঞ্জে অভিযান চালিয়ে ১৫ থেকে ১৬ লাখ ছেঁড়া টাকা, অতিরিক্ত দামে ডলার বিক্রির প্রমাণ পেয়েছেন তারা।

 

সর্বশেষ খবর