বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

সমন্বিত উদ্যোগে এগিয়েছে

----- ড. বদরুজ্জামান

নিজস্ব প্রতিবেদক

সমন্বিত উদ্যোগে এগিয়েছে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হোটেল ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ড. বদরুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের পুরো পর্যটনব্যবস্থা এখন নানাভাবে আকর্ষণ এবং আকৃষ্ট করার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থাপনা হাতে নেওয়া হয়েছে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, পর্যটন বোর্ড, পর্যটন করপোরেশন, প্রাইভেট-পাবলিক পার্টনারশিপ অথরিটি (পিপিপি)-এর মাধ্যমে সমন্বিতভাবে এসব কার্যক্রম মনিটরিং করা হচ্ছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি এই সেক্টর একটি সার্ভিস সেক্টর হিসেবে সবার কাছে একটা আস্থা সৃষ্টি করতে পেরেছে। ব্যবস্থাপনা খুবই উন্নত এবং আধুনিক। বিশেষ করে থাকার ব্যবস্থাপনা, খাবার-দাবার এবং সার্ভিস সবকিছু এখন পর্যটনবান্ধব। এটা আগে ছিল না। পর্যটন নিয়ে যারা কাজ করছেন, ট্যুর অপারেটর আছে, তারা এখন ব্যাপক পেশাদার এবং শিক্ষিত লোক কাজ করছেন। এই পেশায় অনেকে ক্যারিয়ার গড়ছে। যার ফলে পর্যটন অনেক উন্নত হয়েছে, আধুনিক হয়েছে আগের তুলনায়। মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছেছে। ড. বদরুজ্জামান বলেন, সবচেয়ে বড় হলো যোগাযোগব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন এসেছে। এখন ঢাকা থেকে কুয়াকাটা যেতে চার ঘণ্টা লাগে। ফলে প্রচুর পর্যটক কুয়াকাটা ভিজিট করছে। কক্সবাজারের রাস্তাঘাটও অনেক উন্নত হয়েছে। আরেকটা বিষয় হলো, বাংলাদেশের নানা জায়গা, বিশেষ করে হাওর এলাকা, সিলেট, জাফলং, শ্রীমঙ্গল, রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি একেকটা জোন হিসেবে পর্যটন কেন্দ্র হয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশের কারণে নিরাপত্তারও তেমন কোনো ঘাটতি নেই। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, এ বিষয় নিয়ে প্রচুর লেখালেখি হচ্ছে। লেখালেখির মধ্য দিয়ে যথেষ্ট সচেতনতা সৃষ্টি হচ্ছে।তিনি আরও বলেন, সমন্বিত উদ্যোগ আমরা দেখতে পাচ্ছি। ২৫টি পাবলিক-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে পড়াশোনা করানো হচ্ছে। এতে দেখা যাচ্ছে একটা পেশাদার ক্যারিয়ার, ব্যবসা ও প্রচুর পরিমাণে বিনিয়োগকারী আসছেন। সরকারও এই সেক্টরকে বেশি মাত্রায় গুরুত্ব দিচ্ছে। আমরা দেখছি বিপুল দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী বিনিয়োগ করতে চাচ্ছেন। সব মিলিয়ে বিশাল একটা ইতিবাচক পরিবেশ             তৈরি হয়েছে।

সর্বশেষ খবর